কলকাতা: আগেই দেশে এসে গিয়েছিল রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি। সোমবার থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। এক একটি ডোজের জন্য লাগবে ১ হাজার ২৫০ টাকা। 


কোথাও কয়েক কিলোমিটার জুড়ে রাত থেকে লম্বা লাইন। কোথাও আবার নো ভ্যাকসিন বোর্ড। দেশের বিভিন্ন অংশের মতো বাংলাতেও, ভ্যাকসিনের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাকটা বারবার চোখে পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে আশার খবর, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের পর এবার কলকাতায় শুরু হচ্ছে স্পুটনিক ভি-র টিকাকরণ।


সোমবার থেকে কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন। স্পুটনিক ভি-র একটি ডোজের দাম ১২৫০ টাকা। অর্থাৎ দুটি ডোজ নিতে একজনের খরচ হবে আড়াই হাজার টাকা। গত ২৯ মে, রাশিয়া থেকে হায়দরাবাদে পৌঁছয় স্পুটনিক-V-র দেড় লক্ষ ডোজ।


অতিমারির সঙ্কটে ভ্যাকসিনের ঘাটতি সামলাতে, গতমাসেই রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক-ভি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারাল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI। সূত্রের খবর,  এই ভ্যাকসিনে দু’টো আলাদা স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। 


প্রথম পর্বের ২১ দিন পর দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণ হয়। এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা সর্বোচ্চ ৯১.৬ শতাংশ। ঠিক হয়েছে, ৫টি ওষুধ সংস্থা ভারতে ভ্যাকসিন তৈরি করবে। গ্ল্যান্ড ফার্মা, হেটেরো বায়োফার্মা, প্যানাকিয়া বায়োটেক, স্টেলিস বায়োফার্মা এবং ভিরচো বায়োটেক বছরে ৮৫ কোটির কাছাকাছি প্রতিষেধক তৈরি করবে।


রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের তৈরি স্পুটনিক-V ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা মাত্র ০.১ শতাংশ। রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে এই করোনাকালে হারিয়েছি আমরা।


তারইমধ্যে করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা! এই প্রেক্ষাপটে চিকিত্সকরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব সমাজের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিনের পর এবার রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি’র টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ায়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশা।