কলকাতা :  সোনারপুরে ১৪ ঘণ্টারও বেশি বাড়িতে পড়ে কোভিড আক্রান্তের দেহ । ১৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন করোনায়। রাত ১টা নাগাদ মৃত্যু হয় আক্রান্তের। একাধিক হাসপাতালে চেষ্টা করেও মেলেনি বেড । চেষ্টা করেও মেলেনি অক্সিজেন । মৃত্যুর পর প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ । যদিও আরও কয়েক ঘণ্টা পরে প্রায় সন্ধে বেলা পুরসভার কর্মীরা এসে দেহ নিয়ে যান। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে যদিও বলা হয়, তাদের অনেক দেরিতে খবর দেওয়া হয়েছে।তাই শব নিতে দেরি। অন্যদিকে পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেও মেলেনি বেড। এরপর রোগীর মৃত্যু হলেও প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। মৃতদেহ বাড়িতে পড়ে থেকেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 



 কৃষ্ণনগরে ২৪ ঘণ্টা, শক্তিনগরে ১৬ ঘণ্টা, সোনারপুরে ১৭ ঘণ্টা, গড়ফায়  ১০ ঘণ্টা, তিলজলায় ১০ ঘণ্টা, নিমতায় প্রায় ১৯ ঘণ্টা!
এগুলো হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর পর দেহ বাড়ি পড়ে থাকার সময়! মৃত্যুর আগে অসহায় পরিস্থিতি! মৃত্যুর পরও ভোগান্তি! ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকছে মৃতদেহ। সরানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না! অসহায়তার চূড়ান্ত নিদর্শন!

শুধু এই ঘটনাটিই নয়, আজ একের পর এক ঘটনায় রীতিমতো শিড়দাঁড়ায় শীতল স্রোত বয়ে গেছে। অন্যদিকে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত এবার ১৩ হাজারের পথে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৮৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা মৃত্যু ৫৯। কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৮৩০ । উত্তর ২৪ পরগনায় সংখ্যাটা ২৫৮৫। হাওড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে ৭৪৬। 

এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই হাসপাতালে বাড়ছে বেডের হাহাকার। দোকানে দোকানে অমিল অক্সিজেন। কোভিড সঙ্কটের মধ্যেই কলকাতায় অক্সিজেনের আকাল! কলেজ স্ট্রিট চত্বরে দোকানগুলিতে মিলছে না অক্সিজেন। হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। ডিলাররা সাপ্লাই দিতে পারছেন না। আক্ষেপ ব্যবসায়ীদের। অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও অমিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।