পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: রবিবারের ব্রিগেডে মুহূর্মুহ উঠল জয় শ্রী রাম ধ্বনি। আর মুখের ধ্বনি কেক হয়ে মুখেও উঠল বিজেপি কর্মীদের। ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা কেক নিয়েই ব্রিগেডে হাজির হলেন উৎসাহী বিজেপি সমর্থকরা। মেয়ো রোডের মুখে সেই কেক কেটে উৎসব সেরেই ব্রিগেড সভামাঠে ঢুকলেন কলকাতারই বেলেঘাটা থেকে আসা কয়েকজন বিজেপি কর্মী।
বিগত কয়েক বছর ধরে ধর্মীয় আঙিনা ছাপিয়ে বঙ্গ রাজনীতির পরিচিত স্লোগান হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রী রাম’। বহু বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থেকেছে এই ধ্বনি। সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও বিতর্ক তৈরি হয় এই ধ্বনি ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজের বক্তব্য রাখতে ওঠেন, তখনই ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠে। সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগানের অভিযোগ তুলে বক্তৃতা না দিয়েই বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে তীব্র হয় রাজনৈতিক বাদানুবাদ।
কিন্তু কেকের অবয়বে কেন ফিরল ‘জয় শ্রী রাম’? কর্মীদের দাবি, রবিবাসরীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড থেকেই রাজ্যে পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হবে। তাই আজকের দিনটাকে বিজেপি কর্মীরা রাজনৈতিক পালাবদলের সূচনা হিসেবেই দেখছেন। তাদের কাছে এও একপ্রকার 'সোনার বাংলা'র জন্মদিন। তাই এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ হেন আয়োজন বলে দাবি আয়োজকদের। শুধু কেক এনেই নয়, রীতিমতো কেক কেটে এবং একে অন্যকে মাখিয়ে উৎসব পালনও হল মেয়ো রোডে। তবে কেকের রং বিজেপির পরিচয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া গেরুয়া ছিল না, বরং কেকের রঙ ছিল লাল। তার ওপরেই হলুদ রঙে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’।
শুধু কেক নয়, কেউ গায়ে রঙ মেখে অথবা কেউ রঙিন পরিচ্ছদে রবিবারের ব্রিগেড রঙিন করে তুললেন। মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতা মানুষের ভোটকে কতটা বিজেপির ঝুলিতে নিয়ে যাবে, তা অবশ্যই সময় বলবে। তবে আপাতত ব্রিগেড চত্বর বিজেপির রঙে রঙিন হয়ে রইল, সৌজন্যে কর্মী-সমর্থকরা।