দীপক ঘোষ, কলকাতা: বাঙালি হিন্দুর আবেগকে অস্ত্র করে, আগামী বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল জন সংহতি নামে একটি সংগঠন। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের সবক’টি রাজনৈতিক দল তোষণের রাজনীতির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পাল্টা বিজেপির কটাক্ষ, জন সংহতির উপস্থিতি কোনও প্রভাব ফেলবে না। গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূলও।


 


উন্নয়ন, অনুন্নয়ন, দুর্নীতি থেকে দলবদল, বাংলার রাজনীতিতে এসব ইস্যু তো ছিলই। বিজেপির বিরুদ্ধে বরাবরই উগ্র হিন্দুত্বের নামে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা! এবার বাঙালির হিন্দুত্বের আবেগ উসকে দিতে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামছে জন সংহতি নামে একটি মঞ্চও। সূত্রের খবর, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু সংহতির’ একাংশই এই রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করেছে।


 


জন সংহতির সাধারণ সম্পাদক রজত রায় বলেন, ‘‘আজ সব রাজনৈতিক দল নির্লজ্জ সংখ্যালঘু তোষণের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, হিন্দু বাঙালিকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক দল গড়ে, রাজনৈতিক ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি ৷’’


 


গত কয়েক বছর হল, বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জুড়ে গেছে ধর্ম। তৃণমূল যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলছে। তেমনই সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটেই কৌশলে হিন্দু বাঙালির আবেগ উস্কে দিয়ে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছে জন সংহতি। তবে তাদের উপস্থিতি ভোটের ময়দানে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি করছে বিজেপি ৷


 


রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আরেকটা দল বাড়ল, তাতে আর কী হবে? বাংলার রাজনৈতিক যুদ্ধ এবার তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে, বাকিরা নেট প্র্যাকটিস করুন, নির্বাচনের মুখে হঠাৎ নতুন দলের জন্ম হচ্ছে কেন? এটা মুখ্যমন্ত্রী ভাল বলতে পারবেন ৷’’


 


জন সংহতির ভোটে নামাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলও। ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছে জন সংহতি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ১৭৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে জন সংহতি। আগামী দিনে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সংগঠন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।