নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের অসহায়তা, লাগাতার যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার চেনা ছবিটা বদলাচ্ছে না। এবার যৌন লালসার বলি হল মাত্র তিন বছরের একটি মেয়ে। জনৈক পুলিশ অফিসার বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় ওই শিশুকন্যার ময়না তদন্তে প্রকাশ, তাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেয়েটির দেহ পাওয়া যায় তার গ্রামের কাছে আখের খেতে। এই খুনের সঙ্গে দুটি পরিবারের শত্রুতার যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান।
তিন ডাক্তারের একটি টিম ময়না তদন্ত করে যৌন অত্যাচার হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার সতেন্দ্র কুমার। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআরে ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা যোগ করা হয়েছে ও শিশুদের যৌন নিগ্রহ রোধ আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনি এও জানান, মেয়েটির পরিবার আগে দাবি করেছিল, তাকে পুরানো বিবাদের জেরে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। গ্রামেরই একজনের নাম করে তারা। মেয়েটির বাবার এফআইআরের ভিত্তিতে লেখরাম নামে গ্রামেরই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরানো শত্রুতার জেরে তাঁর মেয়েকে লেখরাম অপহরণ করে হত্যা করে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
তদন্তে জড়িত আরেক পুলিশ অফিসার জানান, মেয়েটি বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল, গতকাল একাধিক আঘাতের চিহ্ন সমেত তার দেহ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত রিপোর্টে আরও প্রকাশ, ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় শিশুটিকে।
আখের ক্ষেতে এক সন্দেহভাজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, কিন্তু গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সে উধাও হয়ে যায় বলে জানান পুলিশ অফিসার। তিনি বলেন, গোটা এলাকাটি আখের ক্ষেতে ভর্তি, সম্ভবত সেখানেই সে গা ঢাকা দিয়েছে। চারটি পুলিশ টিম আখের ক্ষেতে চিরুনি তল্লাসি চালাচ্ছে।
১৪ আগস্ট থেকে লখিমপুর খেরিতে এই নিয়ে তিনটি নাবালিকাকে ধর্ষণ, খুন করা হল। ১৪ আগস্ট একটি ১৩ বছরের মেয়ের প্রথম ঘটনাটি জানা যায়। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ আগস্ট ১৭ বছরের একটি দলিত মেয়ের গলাকাটা দেহ তার গ্রামের বাইরে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়।