শ্রীনগর: এনকাউন্টারের (Encounter) দুটি আলাদা ঘটনায় ৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির (terrorist) মৃত্যু (kill) হল দক্ষিণ কাশ্মীরে। এর মধ্যে এক জন লস্কর-ই-তইবার (LeT Commander) কমান্ডার মুখতিয়ার ভাট, বলে জানিয়েছে পুলিশ (police)। সূত্রের খবর, সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী হামলার জন্য বাকি ফিদাঁয়ে জঙ্গিদের নিয়ে এগোচ্ছিল মুখতিয়ার। তার আগেই অবন্তীপোরায় তাদের গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একে-৫৬ রাইফেল এবং ১টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।


পরিস্থিতি যা...
এদিন সন্ধের দিকে কাশ্মীর জোন পুলিশ পর পর দুটি ট্যুইটে দুই এনকাউন্টারের কথা জানায়। একটিতে মুখতিয়ার-সহ তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় এনকাউন্টারটি ঘটেছে বিজবেহারা এলাকায়। সেখানে চতুর্থ সন্দেহভাজন জঙ্গির প্রাণ যায়। অবন্তীপোরায় নিহতদের থেকে ১০ কিলোগ্রাম আইইডি এবং ২ হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডকে ডেকে পাঠানো হয়। রংরেথ এলাকায় সেগুলি নষ্ট করে দিয়েছে স্কোয়াড। পুলিশের দাবি, নিহত ৩ জনই লস্করের সদস্য ছিল। ছানাপোড়া স্টেশনে ইউএপিএ-র সংশ্লিষ্ট ধারা, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইনে মামলাও দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি গোটা এলাকা কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ভারতীয় সেনাও এই অভিযানে সামিল হয়। 


কে মুখতিয়ার?     
কাশ্মীর জোন পুলিশের দাবি, নিহত ওই লস্কর কম্যান্ডার একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সিআরপিএফের এক জন এএসআই এবং আরপিএফের দুই আধিকারিকের হত্যার নেপথ্যে মূল মাথা সে। তার উপর এদিন সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী হামলার ছকও ছিল। তবে সময়মতো তাদের হত্যা করে বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। বিষয়টিকে বড় সাফল্য বলেই ট্যুইটারে লেখে কাশ্মীর জোন পুলিশ। তবে এদিনের এই খবরে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর সেই ভয়ঙ্কর হামলার কথা। ৭৮টি কনভয়ে যাচ্ছিলেন আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান। জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিলেন তাঁরা। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কনভয় যাওয়ার সময় হামলা চালায় জঙ্গিরা। ৩টে ১৫ নাগাদ বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে বেশ কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান ভর্তি গাড়িতে। এই হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। অনেকে আহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে জইশ ই মহম্মদ। এই হামলার পাল্টা জবাবও দিয়েছিল ভারত। সেবছরই ২৬ ফেব্রুয়ারি। বালাকোটে জইশের জঙ্গি শিবিরে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। তাতে খতম করা হয় প্রায় ৫০০ জঙ্গিকে। তবে তার পরও যে উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ নন, তা নানা ভাবে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন:মোরবি বিপর্যয়ে নয়া তাস মোদি-শাহের! পড়শি দেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা