কলকাতা : সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন সুর-সম্রাজ্ঞী। আসমুদ্রহিমাচল আপাতত শোকস্তব্ধ। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে (Bharat Ratna Lata Mangheskar) ঘোষিত হয়েছে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। রাজ্যে (West Bengal) আগামী ১৫ দিন বিভিন্ন জায়গায় তাঁর গান বাজানোর কথা জানানো হয়েছে। শোকবিহ্বল হয়ে স্মতিচারণার মাঝে সকলেই অবশ্য একবাক্যে স্বীকার করছেন একটা কথা, সম্রাজ্ঞী সশরীরের না থাকলেও তাঁর সুরের বাঁধনে চিরকাল গেঁথে থাকবেন ভারতীয়দের (Indian) হৃদয়ে। যাঁর সুর সমস্ত ভারতীয়র কানে-মননে চির বিরাজমান, সেই সুর-সম্রাজ্ঞী নিজে পছন্দ করতেন কোন সুর ? চাপ কমাতে ঠিক কোন কাজে ব্যস্ত রাখতেন নিজেকে ? গান ছাড়া পছন্দ করতেন ঠিক কী করতে ? কোথায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করতেন ? রইল এমনই অজানা অচেনা কিছু খোঁজ।


৩৬টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তাঁর গানের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। লতা মঙ্গেশকরই প্রথম ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী (Singer) যিনি ব্রিটেনের প্রখ্যাত রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে (Royal Albert Hall) সঙ্গীতানুষ্ঠান করার সুযোগ পান। সালটা ১৯৭৪। সেই সময়ই তাঁর ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক বাড়ে বলে দাবি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানির (BBC)। সেই শো ও পরে নিজের পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন মার্কিন মুলুকের লাস ভেগাসে গেলেই রলিফ্লেক্স ক্যামেরায় (Rolleiflex Camera) মুহূর্ত-বন্দি করে রাখতেন লতা মঙ্গেশকর।


চাপ কমাতে রান্না করার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা দেখা ছিল অত্যন্ত পছন্দের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে টেস্ট ম্যাচ দেখতেন। ডন ব্র্যাডম্যানের (Don Bradman) অটোগ্রাফ করা ছবি পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছিলেন। একই রকম আনন্দ পেয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar) তাঁর হাতে সই করা জার্সি তুলে দেওয়ার সময়েও। গাড়ি চড়ারও শখ ছিল সুর-সম্রাজ্ঞীর। ঘিয়ে রংয়ের হিলম্যান, নীল রংয়ের শেভ্রলে ও মার্সিডিজে চড়তে পছন্দ করতেন।


আর অবশ্যই পছন্দের ছিল বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সুর-গান শোনা। মোজার্ট, বেটোফেন, চপিন থেকে শুরু করে ন্যাট কিং কোল, দ্য বিটলস, বারবারা স্ট্রেইসস্যান্ড ও হ্যারি হেলাফন্তে শুনতেন সুর-সম্রাজ্ঞী। পছন্দ ছিল সিনেমা দেখা। ভক্ত ছিলেন গোয়েন্দা সিনেমার। জেমস বন্ড হোক বা শার্লক হোমস, দেখতেন প্রায় সবই। হলিউডের ছবি দ্য কিং দেখেছেন প্রায় পনেরো বার।


আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য