নয়াদিল্লি: ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগকারিণীই এখন তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত। গ্রেফতারি এড়াতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানি। কিন্তু অপেক্ষা করল না সিট। পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েকটি টেলিফোনিক কথোপকথনে আড়ি পেতে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম অনুমান করে, তিনি পালানোর পরিকল্পনা করছেন। তারপরই দ্রুত গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয়।
তাঁকে গ্রেফতার করে কোতওয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টের পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
ডিজিপি ওপি সিংহ জানান, ওই আইন ছাত্রীর বিরুদ্ধে চিন্ময়ানন্দের থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ আছে।
এর আগে মঙ্গলবারও ওই মেয়েটিকে গ্রেফতার করে সিট। পরে জেলা আদালত গ্রেফতারির ওপর স্থগিুতাদেশ দেওয়ায় ছেড়ে দিতে হয়।
অভিযোগ, মেয়েটি চিন্ময়ানন্দের থেকে ৫ কোটি টাকা আদায় করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সঙ্গে চিন্ময়ানন্দকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তের তালিকায় ওই আইন ছাত্রীর সঙ্গে আছে আরও তিন যুবকের নাম। তার মধ্যে ২ জনকে হেফাজতে নিয়েছে সিট। সূত্রের খবর, তাঁদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ও মেয়েটির বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা হবে।
স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম মেয়েটির সেই মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করার চেষ্টা করছে, যেটি রাজস্থানে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে হারিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই আইনের ছাত্রীর বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত মাসে ওই আইনের ছাত্রী প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্টও করেন তিনি।