ফলপ্রকাশে সম্মতি হাইকোর্টের, জেএনইউ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিপুল জয় বাম ছাত্রজোটের
Web Desk, ABP Ananda | 17 Sep 2019 08:41 PM (IST)
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত জেএনইউ ছাত্র সংসদের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ৬৭.৯ শতাংশ ভোট পড়ে। গত সাত বছরে এটাই সর্বোচ্চ ভোটদানের হার সম্ভবত। ৫৭০০-র বেশি পড়ুয়া ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সাম্প্রতিক নির্বাচনে বাম ছাত্রজোটের জয়জয়কার। এসএফআই, আইসা, এআইএসএফ ও ডিএসএফ জোট চারটি মূল পদের সব কটিতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণায় স্থগিতাদেশ ছিল আদালতের। আজ তা তুলে নিয়ে ফল প্রকাশে অনুমতি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ২৩১৩টি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন জোটের এসএফআই প্রার্থী ঐশী ঘোষ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) মনীশ জাংগিদ ১১২৮টি ভোট পেয়েছেন। জেএনইউএসইউয়ের সহ সভাপতি পদে জিতেছেন বাম জোটের সাকেত মুন। তিনি পেয়েছেন ৩৩৬৫টি ভোট। তিনি পরাজিত করেছেন সঙ্ঘ পরিবার অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র শ্রুতি অগ্নিহোত্রীকে, যাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৩৩৫টি। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জোটের সতীশ চন্দ্র যাদব পেয়েছেন ২৫১৮টি ভোট। তিনি পরাজিত করেছেন শবরীশ পিএ-কে, যিনি পেয়েছেন ১৩৫৫টি ভোট। ৩২৯৫টি ভোট পেয়ে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বাম জোটের মহম্মদ দানিশ। তাঁর কাছে হেরেছেন সুমন্ত কুমার সাহু। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই আজ নির্বাচন কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণা করে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত জেএনইউ ছাত্র সংসদের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ৬৭.৯ শতাংশ ভোট পড়ে। গত সাত বছরে এটাই সর্বোচ্চ ভোটদানের হার সম্ভবত। ৫৭০০-র বেশি পড়ুয়া ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ছাত্র সংসদের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য তাঁদের দাখিল করা মনোনয়ন অন্যায় ভাবে বাতিলের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফলপ্রকাশ করা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিরত রেখেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ওই ছাত্রদের রিট পিটিশন নাকচ করে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব বলেন, ফল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে জেএনইউয়ের নির্বাচন কমিটিকে। আদালত বলেছে, লিংডো কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফলাফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হল জেএনইউ কর্তৃপক্ষকেও। যে দুই পড়ুয়া হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল, লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্বাচন করতে হবে। তাঁরা জানিয়েছিলেন, কীভাবে নির্বাচন হবে, ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মেয়াদ, যোগ্যতার মাপকাঠি, প্রার্থীদের মডেল আচরণবিধি, নির্বাচনী প্রশাসক-সব ব্যাপারেই লিংডো কমিশনের সুপারিশগুলি সুপ্রিম কোর্টেও গৃহীত হয়েছে। কিন্তু জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেগুলি মানা হচ্ছে না। লিংডো কমিশনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কাউন্সিলর পদের সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়, ছাত্র সংসদে প্রতিটি কলেজ, স্কুল, বিভাগের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। আগে ৫৫টি কাউন্সিলর পদ থাকলেও এবার নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটি ফর্মূলা এদিক-ওদিক করে সেই সংখ্যা কমিয়েছে।