মুম্বই: শেষ হল এক সপ্তাহের লড়াই। ‘প্রেমে প্রত্যাখ্যানের’ মাশুল নিজের জীবন দিয়ে গুনলেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষিকা অঙ্কিতা পিসুডে।  এক সপ্তাহ আগে, ওয়ার্ধায় হিঙ্গনঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে পেট্রল ঢেলে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ভিকি নাগরালে নামে এক যুবক।  শরীরের অধিকাংশ পোড়া অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অঙ্কিতাকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই যুবক গত ২ বছর ধরে অঙ্কিতাকে বিরক্ত করছিল। সম্ভবত প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েই তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত। ঘটনার পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় সে। পুলিশ তাঁকে তাকালঘাট গ্রাম থেকে ধরে ফেলে।মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বিবাহিত। তার এক সন্তানও আছে। স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করত সে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল ভিকি। কিন্তু অঙ্কিতা তার প্রস্তাবে সাড়া দেননি। মেয়েটির বাবা নাকি ভিকিকে এব্যাপারে সাবধানও করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অঙ্কিতাকে বিরক্ত করে যেতে থাকে ভিকি। অবশ্য সে-সময় মেয়েটির পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগও করা হয়নি। অবশেষে ‘প্রতিশোধ নিতে’ মেয়েটির গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সে।


গত সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ একটি বাস থেকে নামতেই অঙ্কিতার গায়ে বাইক থেকে পেট্রোল বের করে ঢেলে দেয় ভিকি। তার পর আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন উদ্ধার করতে ছুটে এলেও দেহের অনেক অংশই পুড়ে যায়।

অন্য দিকে তরুণীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু আজ সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৬.৫৫ মিনিটে অঙ্কিতা মারা যান। ভোর ৪টে থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। সম্ভবত ‘সেপ্টিসেমিক শক’-এই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

ঘটনার পর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ধৃত ভিকির কঠিন শাস্তির দাবিতে এলাকার মহিলা ও কলেজ পডুয়ারা মিছিলও করেন।  এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।