নয়াদিল্লি: লকডাউনের মধ্যে তেলঙ্গানার গ্রাম থেকে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নিজের ঘরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল ১২ বছরের মেয়েটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫০ কিমি দূরত্ব হেঁটে অতিক্রম করা সম্ভব হল না জামলো মাকদাম নামে মেয়েটির পক্ষে। ১৫ এপ্রিল জামলো ও আরও কয়েকজন তেলঙ্গানার কান্নাইগুড়া গ্রাম থেকে রওনা হয়েছিল। সেখানে লঙ্কার ক্ষেতে কাজ করত সবাই। ১৮ এপ্রিল সকালে বিজাপুরের ভান্ডারপাল গ্রামের কাছে এসে জামলো আর পারেনি। পথেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস টেস্ট করা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য হারিয়েই সে মারা গিয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিজাপুরের চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসার বি আর পূজারি বলেন, মেয়েটির তেলঙ্গানার কর্মস্থল থেকে বিজাপুরের দূরত্ব ১৫০ কিমি, নিজের গ্রাম থেকে ৫০ কিমি দূরে এসে মারা যায় সে। শনিবার সকালে কিছু খাবার খেয়েছিল সে, তারপর তলপেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। অস্বস্তি বোধ করে। সকাল ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার। প্রাথমিক ভাবে ইলেকট্রোলাইটের গণ্ডগোলেই সে মারা গিয়েছে বলে মনে হয়। মেয়েটির সঙ্গে আর যারা হাঁটছিল, তারা জানিয়েছে, ওর পেটে ঠিকমতো খাবার পড়েনি, যা থেকে শরীরের পেশিগুলো অবসন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তী মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মেয়েটির ভিসেরা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে বলে জানান হেলথ অফিসার।
মেয়েটির নিকটাত্মীয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে ছত্তিশগড় সরকার।