নয়া দিল্লি: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পরে টুইটারে বাগযুদ্ধে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই লড়াই শুরু হয় যখন সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দিল্লি সরকার কোভিড ১৯ এর প্রথম ঢেউ এর সময় জনগণকে রাজেয়র বাইরে যেতে অনুমতি দিয়েছিল। 


মোদির এই ভাষণের পরই তাঁকে তোপ দাগেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেশ আশা করে, প্রধানমন্ত্রী যারা করোনার সময় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, কিংবা যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হবেন। এটাই কাম্য।  জনগণের কষ্ট নিয়ে রাজনীতি করা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শোভা পায় না।” 


এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যর পরই পাল্টা তোপ দাগেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেজরিওয়ালের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং তাঁর পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত"। যোগীর মন্তব্যর পরই উত্তাল হয় সোশাল মিডিয়া। আদিত্যনাথ বলেন, "শুনুন কেজরিওয়াল, আপনি দিল্লিতে কাজ করা উত্তরপ্রদেশের কর্মীদের দিল্লি ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন সেই সময়। যখন গোটা মানবজাতি করোনার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আপনার সরকার মধ্যরাতে ইউপি সীমান্তে ছোট শিশু ও নারীদের অসহায়ের মতো রেখে গিয়েছিল। এটি অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক কাজ। তোমাকে বিশ্বাসঘাতক বলব নাকি..." 



এই টুইটের উত্তরে কেজরিওয়াল একই সুরে পাল্টা লিখেছেন, "শুনুন যোগী, আপনি এটি হতে দিন। যেভাবে উত্তরপ্রদেশের মানুষের লাশ নদীতে ভাসছে আর আপনি কোটি টাকা খরচ করে টাইমস ম্যাগাজিনে আপনার মিথ্যা সাধুবাদের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। আপনার মতো নিষ্ঠুর শাসক আমি আর দেখিনি।"



অশান্তি এখানেই থামেননি। যোগী আদিত্যনাথ পাল্টা টুইটে বলেন, “বিদ্যুৎ-জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল করোনার সময়। ঘুমন্ত লোকদের তুলে নিয়ে বাসে করে ইউপি সীমান্তে পাঠানো হয়েছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল যে বাসগুলি আনন্দ বিহারের জন্য যাচ্ছে, এর বাইরে ইউপি-বিহারের জন্য বাস পাওয়া যাবে। ইউপি সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে এবং তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছে।”