নয়াদিল্লি: ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপকিত মল্লিকার্জুন খড়্গের (Mallikarjun Kharge) নাম প্রস্তাব করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম প্রস্তাব করলেন মমতার। খড়্গের প্রতিও সমর্থন রয়েছে কেজরিওয়ালের। (Lok Sabha Elections 2024)
এখনও পর্যন্ত যদিও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে I.N.D.I.A জোটের বৈঠকে তাঁর নাম ওঠার পর সেখানেই খড়্গে প্রতিক্রিয়া জানান বলে খবর। সূত্রের খবর, খড়্গে বলেন, "আগে তো জিতি। তার পর না হয় দেখা যাবে। আমি কিছু চাই না।" তবে খড়্গের নামে তেমন আপত্তি কারও নেই বলে খবর। বৈঠকের পর MDMK নেতা বায়কো বলেন, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় খড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। তাতে কেউই আপত্তি করেননি।"
মঙ্গলবার দিল্লিতে I.N.D.I.A জোটের চতুর্থ বৈঠক হয়। সেখানে গোড়াতেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে কংগ্রেস। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। সেই নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত ফুঁসে ওঠেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। মধ্যপ্রদেশে কয়েকটি আসন চাইলেও কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য থাকলে ফল ভাল হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে মমতার সঙ্গে সেই নিয়ে পৃথক আলোচনাও করেন তিনি। কংগ্রেসকে নিয়ে অভিযোগ করেন। (I.N.D.I.A Alliance Meeting)
এদিনের বৈঠকে আসন সমঝোতা থেকে নির্বাচনী কৌশল, সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রচারকার্যও শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, "স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে। আসন সমঝোতা, মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার...সব নিয়ে হয়েছে কথা। আগামী ২০ দিনের মধ্যে এর সূচনা ঘটবে, আর তিন সপ্তাহের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাবে।"
বৈঠক থেকে বেরিয়ে অখিলেশ বলেন, "টিকিট বিতরণ নিয়ে সমঝোতার জন্য প্রস্তুত সব দল। আমি গোড়া থেকেই বলে আসছি I.N.D.I.A জোট মানুষের জোট। আমরা বিজেপি-কে হারাব। উত্তরপ্রদেশে ৮০ হারাও, লোকতন্ত্র বাঁচাও।" বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান কেজরিওয়ালও। তাঁর কথায়, "বৈঠক ভাল হয়েছে। প্রচার, আসন সমঝোতা, শীঘ্রই সব শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত আহ্বায়ক কে হবেন, তা ঠিক হয়নি।" সংসদের শীতকালীন অধিবেশন থেকে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের যেভাবে গণহারে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই নিয়েও আলোচনা হয়। এ নিয়ে আগামী দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন হবে বলেও জানানো হয়।