নয়াদিল্লি: অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভায় ঢুকে তাণ্ডব দুই যুবকের। সংসদভবনের বাইরে তাণ্ডব তাঁদের দুই সহযোগীর। স্লোগান তোলা হল, পাশাপাশি ছোড়া হল হলুদ রংয়ের গ্যাস। বুধবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই তাণ্ডবকারীদের পাস ইস্যু করা বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহার ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছে তৃণমূলও। সংসদের প্রশ্নোত্তরের ওয়েবসাইডের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ায় যদি মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়, প্রতাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না কেন, প্রশ্ন তুলেছে তারা। (Lok Sabha Security Breach)
বুধবার দুপুরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দুই বহিরাগত যুবক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে পড়ে তাণ্ডব চালান। স্মোক ক্যানিস্টার্স থেকে হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, স্লোগান তোলেন তাঁরা। সংসদভবনের বাইরে তাঁদের দুই সহযোগীও একই কাণ্ড ঘটান। পরে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সংসদভবনের প্রবেশপত্র উদ্ধার হলে দেখা যায়, মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপের দফতর থেকে সেটি ইস্যু হয়েছিল। তাতই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। (Security Breach Lok Sabha)
এদিনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে কী করে ভিতরে ঢুকলেন ওঁরা? বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহা ওই পাস দিয়েছিলেন, যাতে ওঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন, গ্যালারিতে বসে যাতে দেখতে পারেন। তাহলে আজ বিজেপি বলুক, ওঁকে বহিষ্কার করা হবে না কেন? এখানে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। লোকসভার ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। সাংসদকে বহিষ্কার করছে কিনা, বলতে হবে বিজেপি-কে।"
শশী আরও বলেন, "তৃণমূল সাংসদকে (মহুয়া মৈত্র) বহিষ্কার করতেও এই যুক্তি সাজানো হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ বলে তাঁকে বহিষ্কার করা হল। আর এ তো এত বড় ঘটনা, এত সাংঘাতিক ঘটনা! কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে, বিবেচনা করতে হবে লোকসভাকেও। এই ধরনের কাজের জন্য, এমন মানুষকে পাস দেওয়ার জন্য, যাঁরা কিনা সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।"