নয়াদিল্লি: ২২ বছর আগে রক্ত ঝরেছিল পুরনো সংসদভবনে। জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ন'জনের। সেই স্মৃতি উস্কে দিল বুধবার নতুন সংসদভবনের লোকসভার মধ্যে এবং বাইরের তাণ্ডব। স্মোক ক্যানিস্টার্স হাতে লোকসভার অধিবেশনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দুই যুবক। হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়িয়ে দিলেন চারিদিকে। সেই সঙ্গে চলল স্লোগানও। সংসদভবনের বাইরেও একই ঘটনা চোখে পড়ে। সেখান থেকে এক যুবক এবং তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (Lok Sabha Security Breach)


সংসদভবন হামলার ২২ বছর পূর্তির দিন এই ঘটনায় স্তম্ভিত সাংসদ থেকে সাধারণ মানুষ। সংসদভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই ঘটনা। কী কারণে এই তাণ্ডব, এর নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, উঠছে সেই প্রশ্নও। কিন্তু সংসদভবনের বাইরে থেকে গ্রেফতার হওয়া তরুণী জানিয়েছেন, কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরা। দেশের সাধারণ নাগরিক। (Security Breach Lok Sabha)


সংসদভবনের বাইরে থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই তরুণীকে নীলম বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "আমার নাম নীলম। ভারতের সাধারণ নাগরিক। এই ভারত সরকার...আমাদের উপর যে অত্যাচার চলছে, তার প্রতিবাদ করেছি। নিজেদের অধিকারের কথা বলতে গেলে লাঠিচার্জ করা হয়, জেলে ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হয়।"


আরও পড়ুন: Lok Sabha Security Breach: জুতোর মধ্যে স্মোক ক্যানিস্টার্স, চোখে পড়ল না কারও? লোকসভার নিরাপত্তা লঘ্ঙনে হাজারো প্রশ্ন


কেনও সংগঠনের সঙ্গে কি যুক্ত তাঁরা, কেউ বা কারও নির্দেশেই কি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা? প্রশ্নের উত্তরে নীলম বলেন, "আমরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা পড়ুয়া, বেকার। আমাদের বাবা-মা কী নিদারুণ পরিশ্রম করেন। মজুরের কাজ করেন, কেউ কৃষক, কেউ ছোট দোকানদার। আমাদেরে কথা শোনা হয় না। বলতে গেলে কণ্ঠরোধ করা হয়। এই তানাশাহি চলবে না। বন্ধ করতে হবে।"


লোকসভায় তাণ্ডব চালানো দুই যুবকের মধ্যে সাগর শর্মা নামের একজনের কাছ থেকে ভিজিটর্স পাস উদ্ধার হয়েছে, যা বিজেপি-র মহীশূরের সাংসদ প্রতাপ সিনহার অফিস থেকে ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সাংসদের অফিস থেকে পাস পেলেও, পাঁচ ধাপের নিরাপত্তা বলয় পেরোতে হয় সংসদভবনে ঢোকার ক্ষেত্রে। সেখানেই বড় ধরনের গলদ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে সংসদভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। আর এক যুবককে মহীশূরের বাসিন্দা, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার মনোরঞ্জন ডি বলে শণাক্ত করা গিয়েছে। লোকসভার বাইরে থেকে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের আনমোল এবং নীলম হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।