নয়াদিল্লি: ভোররাত থেকে তিহার জেলের সামনে জমা হয়েছিল ভিড়। কয়েকশো মানুষ, হাতে জাতীয় পতাকা, মুখে স্লোগান, ভারত মাতা কি জয়, নির্ভয়া অমর রহে। ৪ খুনীর ফাঁসির খবর বাইরে আসার পর অত ভোরেই শুরু হয়ে যায় মিষ্টি বিলি।


গতকাল থেকে তিহারের সামনে আঁটোসাঁটো ছিল নিরাপত্তা। তার মধ্যেই পায়ে পায়ে ভিড় করেন মানুষ। এঁদের মধ্যে একজন সমাজকর্মী যোগীতা ভায়ানা। তাঁর হাতে ছিল পোস্টার, নির্ভয়া বিচার পেল, অন্য মেয়েরা এখনও অপেক্ষায়। যোগীতা বলেছেন, অবশেষে বিচার এল, এ আমাদের আইনি ব্যবস্থার জয়। আকাশদীপ যেমন। নির্ভয়া পরিবারের পরিচিত এই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তিনি দেখেছেন, কীভাবে নির্ভয়ার পরিবার ৭ বছর ধরে এই আইনি লড়াই চালিয়েছে। লড়াই কঠিন ছিল, যাই হোক, অবশেষে বিচার মিলেছে। তিনি বলেছেন। দিব্যা ধবন এসেছেন সুভাষনগর থেকে। তাঁর কথায়, ফাঁসির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আরও আগেই সাজা হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আর একজন বলছেন, এরপরেও আমাদের সমাজ বদলাবে না ঠিকই কিন্তু যাই হোক, নির্ভয়া বিচার তো পেল।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম জেল তিহারে ১৬,০০০-এর বেশি আসামীর বাস। ফাঁসি এড়াতে সবরকম চেষ্টা করেছিল নির্ভয়ার আসামীরা। প্রথম ফাঁসির তারিখ ২২ জানুয়ারি স্থির হলেও প্রাণভিক্ষা চেয়ে তাদের একের পর এক মরিয়া আবেদন তারিখ ২ মাসের মত পিছিয়ে যায়। ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগেও শেষ চেষ্টা হিসেবে অন্যতম আসামী অক্ষয় আবার দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যায়। নজিরবিহীনভাবে কাল রাত আড়াইটেয় শুরু হয় মামলার শুনানি, চলে এক ঘণ্টা। তারপর সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয় তার প্রাণভিক্ষার আবেদন।