নয়াদিল্লি: এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরোধী দলের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ৯ মাসে ২৬৫ টাকা গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।
থামার নাম নেই।বেড়েই চলেছে রান্নার গ্যাসের দাম।সম্প্রতি ফের ২৫ টাকা দাম বেড়েছে এলপিজি সিলিন্ডারের। যা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল কংগ্রেস। বিরোধী দলের দাবি, ৯ মাসে ৪৪ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে রান্নার গ্যাসের। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে প্রেস কনফারেন্স করেন কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। তিনি বলেন, ''ফের সিলিন্ডার প্রতি ২৫ টাকা রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াল সরকার।এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে দিল্লিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৮৫৯ টাকা।''
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি কংগ্রেস মুখপাত্র। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের মে মাস থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর কোনও ধরনের ভর্তুকি দেয়নি সরকার। পরিসংখ্যান দিয়ে শ্রীনাতে বলেন, ''২০১৪ সালে জ্বালানির ওপর ভর্তুকি ছিল ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের বাজাটে সেই ভর্তুকির টাকা কমিয়ে ১২,০০০ কোটি টাকায় আনা হয়।''
কংগ্রেসের অভিযোগ, কেবল জ্বালানি থেকে ৪.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা কর আয় করেছে সরকার। যদিও এর পরিবর্তে দেশবাসীর জন্য কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়ে টানা দু-মাস গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে তেল কোম্পানিগুলি। জুনের ১ তারিখে ঘরোয়া সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮০৯ টাকা। জুলাইয়ে তা বাড়িয়ে ৮৩৪ টাকা করে দেওয়া হয়।
রান্নার গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরাসরি মোদি সরকারের দিকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ২০১৩ সালে দেশবাসীর সমস্যার জন্য মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় দিল্লিতে কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এখন মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, অথচ মোদি সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সৌদির অপরিশোধিত গ্যাসের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি জানান, ভারতে এই মুহূর্তে গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হওয়া উচিত ৬০০.৭ টাকা। যদিও সেই মূল্যে সিলিন্ডার দিচ্ছে না মোদি সরকার।