Total Lunar Eclipse: চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) দেখা যাবে আগামী ৮ নভেম্বর। এটি একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। এর তিনবছর পর ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আগামী ৮ নভেম্বরের মহাজাগতিক ঘটনাকে Blood Moon-ও বলা হচ্ছে। কারণ ওইদিন চাঁদের রঙ থাকবে লালচে আভা যুক্ত। পৃথিবীর ছায়াযুক্ত অঞ্চলের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা দিয়ে অগ্রসর হবে চাঁদ। আর সেই সময়েই তার রঙে লালচে দেখা যাবে। বছরের শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ কোনও যন্ত্রাংশের প্রয়োজন নেই। বাইনোকুলার এবং টেলিস্কোপের মাধ্যমেই স্পষ্ট ভাবে লালচে রঙের চাঁদ দেখা যাবে। তবে এই গ্রহণ দেখার সময় অন্ধকার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। উজ্জ্বল আলো থেকে দূরে থাকলে ভালভাবে দেখা যাবে এই গ্রহণ।


কলকাতা- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


কলকাতায় বছরের শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৪টে ৫৫ মিনিটে। ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এই গ্রহণ শুরু হবে। আর শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ধরে চলবে গ্রহণ।


দিল্লি- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


দিল্লিতে এই গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা যাবে ৮ নভেম্বর বিকেল ৫টা ৩১ মিনিটে। এখানে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে। আর শেষ হবে ৭টা ২৬ মিনিটে। অর্থাৎ গ্রহণের স্থায়িত্বকাল ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট।


মুম্বই- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে। এখানে গ্রহণ শুরু হবে ৬টা ১ মিনিটে। আর শেষ হবে ৭টা ২৬ মিনিটে। অর্থাৎ গ্রহণ চলবে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে।


বেঙ্গালুরু- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে। বেঙ্গালুরুতে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে। আর শেষ হবে ৭টা ২৬ মিনিটে। অর্থাৎ গ্রহণ চলবে ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট।


নাগপুর- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে। গ্রহণ শুরু হবে ৫টা ৩২ মিনিটে। শেষ হবে ৭টা ২৬ মিনিটে। নাগপুরে গ্রহণ চলবে ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট।


কোহিমা- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৪টে ২৯ মিনিটে। কোহিমাতে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ২৩ মিনিটে। শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। ৩ ঘণ্টা ২ মিনিট ধরে এখানে গ্রহণ চলবে।


আগরতলা- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা যাবে বিকেল ৪টে ৪৩ মিনিটে। এখানে গ্রহণ শুরু হবে ৪টে ৩৮ মিনিটে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। অর্থাৎ গ্রহণের স্থায়িত্বকাল ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।


গুয়াহাটি- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


এখানে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিকেল ৪টে ৩৬ মিনিটে। গুয়াহাটিতে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৩টে ৩৮ মিনিটে। আর শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ চলবে ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।


ভুবনেশ্বর- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৯ মিনিটে। ভুবনেশ্বরে গ্রহণ চলবে ২ ঘণ্টা ৪১ মিনিট ধরে।


শিলিগুড়ি- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৪টে ৪৯ মিনিটে। গ্রহণ চলবে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে।


পাটনা- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে। গ্রহণ চলবে ২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ধরে।


নয়ডা- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


নয়ডায় গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। এখানে গ্রহণ চলবে ১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ধরে।


গুরুগ্রাম- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে।


চণ্ডীগড়- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। গ্রহণের স্থায়িত্বকাল ১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।


হায়দরাবাদ- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে। গ্রহণের স্থায়িত্বকাল ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট।


চেন্নাই- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণের স্থায়িত্বকাল ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেন্নাইতে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে।


শ্রীনগর- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ


এখানে গ্রহণ দেখা যাবে বিকেল ৫টা ৩১ মিনিটে।


আরও পড়ুন- ২৭ বছর পর দীপাবলিতে সূর্যগ্রহণ, কোন রাশির জাতক-জাতিকারা উপকৃত হবেন ?