নয়া দিল্লি : গত কয়েক মাসে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এ দেশ। কখনও কখনও আবার লাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই একের পর এক রেল দুর্ঘটনা হয়ে চলেছে দেশে। কখনও তাতে হয়েছে প্রাণহানি, কখনও আবার অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা হয়েছে। 


এবার মধ্যপ্রদেশ।  বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত আরেকটু হলেই । বৃহস্পতিবার রতলামে মালগাড়ির দুটি বগি লাইচ্যুত হয়ে যায়। দিল্লি-মুম্বই রুটে ডিজেল ট্যাঙ্কার নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরেই একটি ট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি নির্গত হতে শুরু করায় বড় বিপদের আশঙ্কা দেখা দেয়। স্থানীয়দের সুরক্ষার্থে তাঁদের লাইন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। দ্রুততার সঙ্গে ট্যাঙ্কারগুলি লাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়। রাজকোট থেকে ডিজেল ট্যাঙ্কার নিয়ে ভোপালের দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইনে সাময়িকভাবে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল।  


 কিছুদিন আগে এই মধ্যপ্রদেশের রেললাইন থেকেই উদ্ধার হয় পরপর বিস্ফোরক পদার্থ।  লাইনের উপর দিয়ে সেনার বিশেষ একটি ট্রেন যাচ্ছিল। সেনাকর্মীদের ওই ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেই আশ্ঙ্কা করে পুলিশ। রেললাইন থেকে কমপক্ষে ১০টি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের সগফাতা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের উপর কমপক্ষে ১০টি বিস্ফোরক পদার্থ রাখা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবারই আবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরের প্রেমপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা ছিল। একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল সেখান দিয়ে। দ্রুত ব্রেক কষে মালগাড়ি থামান চালক। 


এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গেরময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত  হয় মাল গাড়ি।  স্টেশনে ঢোকার মুখেই ইঞ্জিন থেকে ছিটকে যায় বেশ কয়েকটি বগি। মাল গাড়িটি অসম থেকে এনজেপি র দিকে যাচ্ছিল।  এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেলের বৈদ্যুতিন খুঁটি। কীভাবে এই দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখছে রেল দফতর। এই ঘটনায় আংশিক প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলে। নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দেরিতে চলতে শুরু করে দুরপাল্লার একাধিক ট্রেন।                  


আরও পড়ুন :


মিসাইল হামলা-বোমাবর্ষণে বেইরুটে বাড়ছে মৃত্যু, জটিল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ-পরিস্থিতি