LIVE UPDATE: মধ্যপ্রদেশে গভীর সঙ্কটে কমল নাথ সরকার, সিন্ধিয়ার পর কংগ্রেস ছাড়লেন ২২ বিধায়ক

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 10 Mar 2020 08:55 PM

বিজেপি নেত্রী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার আত্মীয়া যশোধরা সিন্ধিয়া জানালেন, আমি খুব খুশি এবং ওঁকে অভিনন্দন জানাই। এটি 'ঘরে ফিরে আসা'। মাধবরাও সিন্ধিয়া জনসংঘতে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন। জ্যোতিরাদিত্যকে কংগ্রেসে অবহেলা করা হচ্ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ মধ্য প্রদেশের রাজ্যপালকে ছয়জন মন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণের সুপারিশ করলেন।
সব মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়ার অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিলেন, যা কমলনাথ সরকারকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে। সংখ্যার বিচারে কমলনাথ সরকার এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। আজ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব, নরোত্তম মিশ্র সহ কয়েকজন বিরোধী নেতা স্পিকার এনপি প্রজাপতির বাসভবনে গিয়ে ১৯ কংগ্রেস এমএলএ-র ইস্তফাপত্র পেশ করেন। পরে স্পিকার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রাজ্য় বিধানসভার প্রচলিত রীতিনীতি মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।
২০ বিধায়কের ইস্তফার পর নতুন অঙ্ক মধ্যপ্রদেশে
মধ্যপ্রদেশে মোট আসন সংখ্যা ২৩০
বর্তমানে খালি রয়েছে ২ আসন
কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন ২০ বিধায়ক
বর্তমানে বিধায়ক সংখ্যা ২০৪
২০ বিধায়কের ইস্তফার পর ম্যাজিক ফিগার ১০৫
কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা ৯৫
বিজেপির বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা ১০৭
বিএসপি - ২, এসপি - ১, নির্দল - ৪
বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চহ্বান সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, কংগ্রেস নেতা এবং প্রবীণ বিধায়ক বিসাহু লাল সাহু আমাদের সাথে আছেন এবং বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
১৯ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পর,
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন
মোট বিধায়কের সংখ্যা ২০৯,
ম্যাজিক ফিগার ১০৫,
কংগ্রেস ছিল ৯৫,
বিজেপি ছিল ১০৭,
নির্দল ৪,
বসপা ২,
সপা ১
এর ফলে মধ্যপ্রদেশে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল কমলনাথের সরকার।
জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেবেন কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ক। খবর সূত্রের। মানুষের কাজ করতে চেয়েছিলাম। কংগ্রেসে থেকে তা করা সম্ভব হচ্ছিল না, ইস্তফা পত্রে উল্লেখ জ্যোতিরাদিত্যর।
শিবরাজ সিংহ চহ্বান বললেন, যখন সিন্ধিয়াজি কংগ্রেসে ছিলেন, তখন কোনও কোনও কংগ্রেস নেতার কাছে তিনি মহারাজা ছিলেন, এখন তিনি মাফিয়া? এটা দ্বিচারিতা।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে তিনটি চার্টার্ড বিমান কংগ্রেস বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়েছিল, তা বিজেপিই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এটি মধ্যপ্রদেশের লোকেদের রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কারণ কমলনাথ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।
অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, 'কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মাননীয় পদে ছিলেন সিন্ধিয়া। সম্ভবত তিনি মোদির দেওয়া মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েছেন। আমরা জানি তার পরিবার বিজেপির সঙ্গে কয়েক দশক ধরে যুক্ত...তবুও এটি একটি বড় ক্ষতি।'
সঙ্কট মোকাবিলায় আহমেদ পটেল এবং কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক সনিয়ার। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর। বিজেপি সূত্রে খবর, এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহর বৈঠকে রাজ্যসভার টিকিট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দাবি করেন জ্যোতিরাদিত্য। রবিবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বানের
সঙ্গেও বৈঠক করেন সিন্ধিয়া।
জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গেই ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের আরও ১৯ বিধায়ক। বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পাঠালেন ইস্তফাপত্র।
জল্পনা শেষ, কংগ্রসে ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের পরই ইস্তফা।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।

দিল্লিতে বৈঠক শেষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন থেকে বেরিয়ে এলেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ, জিতু পাটোওয়ারি, বালা বচ্চন, সজ্জন সিংহ ভার্মা, সুরেন্দ্র সিংহ বাঘেল প্রমুখ ভোপালে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বাসভবনে পৌঁছলেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল সনিয়া গাঁধীর সাথে দেখা করতে 10 জনপথে পৌঁছেছেন।
ভোপালের বিজেপি কার্যালয়ে বৈঠক চলছে, আছেন শিবরাজ সিংহ চহ্বান, ভিডি শর্মা এবং বিনয় সহস্রবুদ্ধে সহ প্রবীণ নেতারা।
বিজেপি সূত্রে খবর, জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহর এর আগেও বৈঠক হয়। সেখানে তিনি রাজ্যসভার টিকিট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দাবি করেন।
জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেবেন ১৯ বিধায়ক, দাবি সূত্রের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্তফা দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। অমিত শাহের সঙ্গে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থীও হচ্ছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ মাধব রাও-পুত্র। খবর সূত্রের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্তফা দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। অমিত শাহের সঙ্গে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সিন্ধিয়া দেখা করেন।
পাঁচ দিনের ছুটিতে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালজি টন্ডন লখনউ গিয়েছেন। ছুটি ছেঁটে মঙ্গলবারই ফিরছেন ভোপালে।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেছেন, “যাঁরা জনাদেশকে অসম্মান করবেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দেবে মধ্যপ্রদেশের মানুষ। যাঁরা সত্যিকারের কংগ্রেস তাঁরা কখনওই দল ছেড়ে যাবেন না।”
জ্যোতিরাদিত্যর বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে অনেক দিন ধরেই। মঙ্গলবার তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়ার জন্মদিন। এদিনই কি কংগ্রেস ছেড়ে নতুন পদক্ষেপ করবেন তিনি? জল্পনা তুঙ্গে।
আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করতে পারেন, খবর সূত্রের।
সচিন পাইলট টুইট করেছেন, ‘‘আশা করছি মধ্যপ্রদেশের সঙ্কট শীঘ্রই কাটবে। নেতারা নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে এই মুহূর্তে রাজ্যে স্থিতিশীল সরকার দরকার।’’
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, আমরা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু বলা হয়েছে তিনি সোয়াইন ফ্লু-তে ভুগছেন, তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা আদতে কংগ্রেসের, তাঁরা কংগ্রেসেই থাকবেন।

কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দলে বিজেপি স্বাগত জানাবেন কিনা, প্রশ্ন করা হয় বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্রকে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে সবাই স্বাগত। আমরা তৃণমূল স্তরের কর্মীদেরও আহ্বান জানাই, সিন্ধিয়া তো একজন খুব বড় নেতা, তিনি অবশ্যই স্বাগত।
সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের ভোপালে জরুরি বৈঠকে ডেকেছে বিজেপি। আজ ভোপালে উড়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা দুপুর ১২ টায় বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার শিবিরে ব্যাঙ্গালুরুতে ১৯ জন কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রেক্ষাপট

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এমনটাই খবর সূত্রের। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য, রবিবার বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি রাজ্যসভার টিকিট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দাবি করেন বলে সূত্রের খবর।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জ্যোতিরাদিত্যের শিবির বদলের সম্ভাবনা রাজনৈতিক মহলে জোরাল হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বান একে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছেন। যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে আজই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। রবিবার তাঁর সঙ্গেই বৈঠক করেন জ্যোতিরাদিত্য।
সোমবার মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের নতুন সঙ্কট তৈরি হয়। আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী, ৬ মন্ত্রী-সহ ১৭ জন বিধায়ক। পাল্টা বৈঠক করে ২২ জন মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাফিয়াদের সাহায্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা সফল হতে দেবনা বলে বিবৃতি দেন কমলনাথ।
মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারের যে ৬ মন্ত্রী-সহ ১৭ জন বিধায়কের কোনও হদিশ মিলছে না, তাঁরা প্রত্যেকেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী। মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুলসী সিলাভাট, শ্রমমন্ত্রী মহেন্দ্র সিং শিশোদিয়া, পরিবহণমন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুত, নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী ইমারতি দেবী, খাদ্যমন্ত্রী প্রদ্যুম্ন সিংহ তোমর এবং স্কুল শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী প্রভুরা চৌধরী - সবার মোবাইল ফোন বন্ধ, বলে জানা যায়।

ঘোরালো এই পরিস্থিতিতে, দিল্লি গিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন কমল নাথ। রাতে মন্ত্রিসভার ২২ জন সদস্যকে নিয়ে বৈঠকে বসেন।  সূত্রের খবর, বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ২২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। নতুন করে মন্ত্রিসভা তৈরির জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.