ভোপাল: একদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহন যাদব- (Mohan Yadav)। দায়িত্ব হাতে পেয়েই প্রকাশ্যেঅর্থাৎ খোলা বাজারে ডিম, মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করলেন তিনি। রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা আইনে উল্লেখিত নির্দেশিকা মেনেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মোহন নেতৃত্বাধীন বিজেপি (BJP) সরকার। (Madhya Pradesh News)


বুধবারই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন মোহন। রাজ্যপাল মঙ্গুভাই সি পটেল শপথগ্রহণ করান তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিজেপি-NDA জোটের শাসনাধীন ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেন মোহনের দুই ডেপুটি, জগদীশ দেওড়া এবং রাজেন্দ্র শুক্লও। এর পরই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রকাশ্যে ডিম-মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। ১৫ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বলা হয়েছে।


রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের দীর্ঘ দিনের সদস্য মোহন। তিনিই এই সিদ্ধান্তের কথা সর্বসমক্ষে আনেন। তিনি বলেন, "সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা গড়ে ওঠে। যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।" কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মোহন।


আরও পড়ুন: Lok Sabha Security Breach: জানুয়ারিতেই পরিকল্পনা, বাদল অধিবেশনে সংসদ চত্বরে রেকিও, ধৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ধারা প্রয়োগ


এর পাশাপাশি, ধর্মীয় স্থান এবং জনবহুল এলাকায় অনুমোদিত সীমার ঊর্ধ্বে গিয়ে লাউড স্পিকার বাজানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোহন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বিশেষ একটি দল তৈরি করা হচ্ছে, যাঁরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে। নিষেধাজ্ঞা যথাযথ পালিত হচ্ছে কিনা দেখবে। তিন দিনের মধ্যে সেই মতো রিপোর্ট দেবে রাজ্যকে।


সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, 'ধর্মীয় স্থানে এবং অন্য জায়গায় মধ্যপ্রদেশ শব্দ নিয়ন্ত্রণ আইন, শব্দদূষণ নীতি এবং নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০-এর আওতায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীও পদক্ষেপ করা হয়েছে। জোরে লাউডস্পিকার বা অন্য কোনও শব্দযন্ত্র বাজানো যাবে না একেবারেই। ধর্মীয় নেতা এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের সহযোগিতায়, যে সমস্ত জায়গায় লাউড স্পিকার বসানো রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে। যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান এই নির্দেশিকা অমান্য করবে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে এবং রিপোর্ট দেখে সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে'।


এছাড়াও, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ২০২০-র আওতায় রাজ্যের ৫২টি জেলায় এক্সিলেন্স কলেজ খোলার কথাও জানিয়েছেন মোহন। কলেজগুলির নাম 'প্রধানমন্ত্রী এক্সিলেন্স কলেজ' রাখা হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সেখানে পঠনপাঠন শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিড়ির পাতার দাম বৃদ্ধি করা হবে বলে জনজাতি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই মতো বুধবার বিড়ির পাতার দাম কেজিতে ৩০০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০০ করার ঘোষণা করেছে নয়া সরকার।