ভাইয়ে ভাইয়ে টাকা-পয়সা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের ঘটনা মোটেই বিরল নয়।  কিন্তু বাবার শেষকৃত্য করার অধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব যে এতদূর গড়াতে পারে, তা বোধ হয় ভাবতে পারেন না কেউই। 
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ধ্যানী সিং ঘোষ শেষ বয়সটা কাটিয়েছেন ছোট ছেলের কাছেই। দেশরাজই তাঁকে দেখা শোনা করতেন। বড়ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না খুব একটা। রোগ-বালাইয়ে ভরসা ছিলেন ছোটছেলেই। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর হঠাৎই অধিকারবোধ প্রবল হয়ে উঠল বড় ছেলের। জ্যেষ্ঠপুত্র বলে কথা ! সেই অধিকার থেকেই তিনি দাবি করে বসলেন বাবার শেষকৃত্য করার অধিকার তারই। তারপর সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি পৌঁছল এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। 
মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় জেলার ঘটনা। বাবার শেষকৃত্য নিয়ে দুই ভাইয়ের বাগবিতণ্ডা এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় যে, বড় ছেলে দাবি করে বসেন, মৃতদেহ সৎকারের অধিকার যদি  তাঁকে না দেওয়া হয়, তাহলে দেহ অর্ধেক করে তাঁকে দাহ করতে দিতে হবে। এদিকে ছোট ভাইও নাছোড়। তাঁর দাবি, এত কাল বড় ছেলে ছিলেন কোথায় ! বাবার দেখাশোনা তিনিই করেছেন। তাই তাঁর বাবার শেষকৃত্য করার অধিকার তাঁরই। আর বড় ছেলের দাবি, তিনিই প্রথম সন্তান, তাই বাবা চেয়েছিলেন তিনিই শেষকৃত্য করুন। বচসা পৌঁছায় ভয়ঙ্কর অবস্থায়। 
শেষমেষ  পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রবিবার জেলা সদর দফতর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে লিধোরাতাল গ্রামে ঘটে এই ঘটনা । জাতরা থানার ইনচার্জ অরবিন্দ সিং ডাঙ্গি বলেন, ভাইদের মধ্যে বিরোধের পর গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮৪ বছরের ধ্যানী সিং ঘোষ ছোট ছেলে দেশরাজের সঙ্গেই থাকতেন, রবিবার দীর্ঘ অসুস্থতার পর তিনি মারা যান । তারপরই মৃত্যুর খবর পেয়ে উপস্থিত হন বড় ছেলে কিষাণ। তিনি থাকতেন গ্রামের বাইরে।  তিনি শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চাইলেই ঝামেলা বেঁধে যায়। ছোট ছেলের দাবি,  মৃত ব্যক্তির ইচ্ছা ছিল তিনিই যেন শবদাহ করেন। পুলিশই জানায়, বড় ছেলে ছিল মত্ত অবস্থায়। নেশার ঘোরে কিষাণ জোর করে মৃতদেহটি দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। তারপর পুলিশ পদক্ষেপ করাতে  ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়  কিষাণ। ছোট ছেলেই মৃতদেহ দাহ করে।