প্রয়াগরাজ :  মৌনি  অমাবস্যার বসন্ত পঞ্চমী। আবারও অমৃতস্নানের তিথিতে বিপদ প্রয়াগরাজে। অগ্নিকাণ্ড, পদপিষ্টকাণ্ডের পর মহাকুম্ভে ফের  মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এবার বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্যস্নানের দিন এয়ার বেলুন ফেটে ঘটল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।  আগুনে ঝলসে গেলেন ৬ জন পুণ্যার্থী। 

Continues below advertisement

সোমবার ছিল  বসন্ত পঞ্চমী। এদিন প্রয়াগরাজে গঙ্গায় অবগাহন করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। যদিও মৌনি অমাবস্যার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসন ছিল বেশি সতর্ক। ভিড় সুশৃঙ্খল রাখার চেষ্টাও চোখে পড়ে। তারপরও আটকানো গেল না এই দুর্ঘটনা।  প্রয়াগরাজের সেক্টর ২০-তে আখাড়া মার্গের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। মাটি থেকে কিছু ওপরে উঠেই হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি এয়ার বেলুন ফেটে যায়। বেলুনের বাস্কেট থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েন ৬ পুণ্যার্থী। মারাত্মকভাবে পুড়ে যায় প্রত্যেকের শরীর। আহতদের মধ্যে ২ জন হৃষিকেশ, বাকিরা প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌর ও খারগোনের বাসিন্দা। 

অমৃতকুম্ভের সন্ধানে গিয়ে কেউ ফিরেছেন খালি হাতে, কেউ ফিরেছেন কোনও মতে প্রাণ নিয়ে। মৃতের যা পরিসংখ্যান দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, আসল সংখ্যাটা তার থেকে কয়েকগুণ বেশ, দাবি করছেন বিরোধীরা। লাশ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। তারই মধ্যে আবারও এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। 

Continues below advertisement

১৪৪ বছর অন্তর একটি মহাকুম্ভ। আর এই সময় প্রয়াগরাজে স্নান করা সৌভাগ্যের, এমনটা বিশ্বাস কোটি কোটি মানুষের। সেই আস্থা নিয়েই প্রয়াগরাজে প্রতিদিন পৌঁছচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এ বছর দেড় মাসের কুম্ভ মেলা জমায়েতে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪৫ কোটি ছাড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার ও মেলার আয়োজকরা। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে যোগী সরকার। কিন্তু এই জনসমুদ্র সামলাতে সত্যিই কি আয়োজন যথেষ্ট ? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে একের পর এক বিপর্যয়। 

জানুয়ারির মাঝামাঝিই আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল মহাকুম্ভে। মেলা চত্বরে বিধ্বংসী আগুনে  পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২৬০টি তাঁবু। তবে হতাহত কেউ হননি বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। । উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে সে সময়ও পরিস্থিতির খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যোগী-প্রশাসনকে আক্রমণ করে আসছে সমাজবাদী পার্টি। এরপর মৌনি অমাবস্যায় ঘটে যায় মহাবিপর্যয়। তখন তো যোগী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন অখিলেশ যাদব। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বেলুন ফেটে আগুন ও দুর্ঘটনা।