মুম্বই: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়ের মধ্যেও বড় শরিক বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষির ইঙ্গিত দিচ্ছে শিবসেনা। ভোটগণনা যত এগচ্ছে, ইঙ্গিত মিলছে যে, শিবসেনা মোটামুটি ভাল ফল করছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার গঠনে তারা ৫০-৫০ সূত্র মানতে বিজেপিকে চাপ দেবে বলে জানিয়েছেন শিবসেনার অন্যতম শীর্ষ নেতা সঞ্জয় রাউত। কংগ্রেস, শারদ পওয়ারের এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার হাত মেলানোর জল্পনা খারিজ করে তিনি বলেছেন, বিজেপি-শিবসেনা সরকারই আসছে ক্ষমতায়। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনও মত নেই। আমরা পূর্ণ জনমত পেয়েছি। আসন কমতে বা বাড়তে পারে। উদ্ধব ঠাকরেজির সঙ্গে কথা বলব। তারপর তিনি কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ভোটের আগে ৫০-৫০ সূত্রে রফা হয়েছিল। সূত্রের খবর, শিবসেনা এমনকী সরকারের ৫ বছর মেয়াদকে দু ভাগে ভেঙে আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ তাদের দেওয়ার দাবি করতে পারে। এপর্যন্ত শিবসেনা ১২৬টিতে লড়ে ৬৪টি আসনে এগিয়ে আছে। ২০১৪-য় তারা রাজ্যের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রার্থী দিয়ে ৬৩টিতে জিতেছিল। কিন্তু তারা যে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি করার সাহস পাচ্ছে, তার কারণ বিজেপি আপাতত ১০০টি আসনে এগিয়ে আছে। ২০১৪-য় ১২২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেই তুলনায় এবার খানিকটা পিছিয়েই আছে তারা। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোকসভা ভোটের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজেপির একাংশ শিবসেনাকে সঙ্গে না নিয়ে একক ভাবে নির্বাচনে লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু শিবসেনার সঙ্গে জোট বহাল রেখেই ভোটে নামার পক্ষে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ। তাঁর ভাবনাকে সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে শিবসেনার ৫০-৫০ আসন রফা সূত্র বিজেপি মানেনি। কয়েক দফা আলোচনা, দর কষাকষির পর শিবসেনাকে ১২৬টি ছেড়ে ১৫০টি অর্থাত্ সংখ্যগরিষ্ঠ আসন নিজেদের হাতে রাখে বিজেপি। এ ব্যাপারে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন ‘মাতুশ্রী’তে গিয়ে কথাও বলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেসময় শিবসেনার মন গলাতে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও দেওয়া হয় তাদের। প্রতিবাদে ৩০০ শিবসেনা কর্মী, ২০-র বেশি দলীয় কর্পোরেটর ইস্তফাও দেন। যদিও উদ্ধব তা গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, জোটে কে ছোট, কে বড়, এটা বিষয় নয়। ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন, সেটাই আসল কথা।