মুম্বই: কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে ড্রাগ-যোগ তদন্তের নির্দেশের পরেই মহারাষ্ট্রের স্বরষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে হুমকি-ফোন। গতকাল অনিল দেশমুখের নাগপুরের দফতরে হুমকি-ফোন আসে বলে অভিযোগ।


সম্প্রতি, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, বলিউডের ৯৯ শতাংশই ড্রাগ নেয়! এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ড্রাগ-যোগের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল মহারাষ্ট্র সরকার!


গত কয়েকদিন ধরে যাঁর সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিরোধী দলগুলির সংঘাত তুঙ্গে! কঙ্গনার বিরুদ্ধে ড্রাগ-যোগের তদন্ত শুরু হওয়ার মূলে রয়েছে ২০১৬ সালের একটি ইন্টারভিউ! ইন্টারভিউটি দিয়েছিলেন অভিনেতা শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়ন সুমন। এক সময় অধ্যয়নের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল কঙ্গনার। পরে দীর্ঘ বিবাদ-কেচ্ছার পর সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।


২০১৬ সালে একটি সর্বভারতীয় দৈনিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎ‍কারে অধ্যয়ন দাবি করেন, ২০০৮ সালে ওর (কঙ্গনা) জন্মদিনে যাঁর যাঁর সঙ্গে ও কাজ করেছে, তাঁদের সবাইকে দ্য লীলাতে ডেকেছিল। তখন ও (কঙ্গনা) বলে, চলো আজ রাতে কোকেন নিই। আমি বলি, আমি নেব না। আমার মনে আছে, সেদিন রাতে আমি কোকেন নেব না বলায়, ওর সঙ্গে আমার খুব ঝগড়া হয়েছিল।


আর ৪ বছর আগে অধ্যয়ন সুমনের এই সাক্ষাৎকারকেই হাতিয়ার করে শিবসেনার দুই বিধায়ক সুনীল প্রভু এবং প্রতাপ সরনায়েক দাবি করেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। এরপরই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দেন।


মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন, বিধায়ক সুনীল প্রভু এবং প্রতাপ সরনায়েকের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় আমি জানিয়েছি, অধ্যয়ন সুমনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কঙ্গনার। একটি সাক্ষাৎকারে তিনিই জানিয়েছিলেন যে, কঙ্গনা নিজে মাদক সেবন করতেন এবং তাঁকেও বাধ্য করতেন। মুম্বই পুলিশ অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে।


এরপরই মহারাষ্ট্র সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে কঙ্গনা টুইটারে লেখেন, ‘‘মুম্বই পুলিশ এবং অনিল দেশমুখের নির্দেশ মেনে নেব আমি। আমার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হোক। খতিয়ে দেখা হোক কল রেকর্ডসও। তাতে যদি কোনও মাদক পাচারকারীর সঙ্গে আমার সংযোগ রয়েছে বলে ধরা পড়ে, তাহলে ভুল স্বীকার করে নেব আমি। চিরকালের মতো মুম্বই ছেড়ে চলে যাব। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’’