Maharashtra News: ডাক্তার হতে চাননি তিনি। আর তাই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার দিনই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন ১৯ বছরের মেধাবী ছাত্র। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার বাসিন্দা অনুরাগ অনিল বোরকারের মৃত্যু হয়েছে বড় অকালে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছেন এবং একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি লিখে গিয়েছেন, চিকিৎসক হতে চান না। মহারাষ্ট্রের সিন্দওয়াহি তালুকের নওয়াড়াগাঁওতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন অনুরাগ। NEET UG 2025 পরীক্ষায় তাঁর স্কোর ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল। ওবিসি ক্যাটেগরিতে তরুণের অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ১৪৭৫, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন এই তরুণ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরক্ষপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন এই ছাত্র। তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। নির্দিষ্ট করে কী লেখা হয়েছে ওই সুইসাইড নোটে তা এখনও প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। তবে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে তরুণ একথা লিখেছেন যে তিনি ডাক্তার হতে চান না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আজকালকার ইঁদুর দৌড়ের জীবনে প্রতিযোগিতাই যেন সব। বেশিরভাগ মা-বাবাও চান তাঁদের সন্তান সবেতেই সেরা হবে। 'অ্যাভারেজ' অর্থাৎ গড়পড়তা বিষয় আজকাল কোনও অভিভাবকেরই পছন্দ হয় না। অনেকক্ষেত্রে তো নিজেদের অপূর্ণ আকাঙ্খা সন্তানের মাধ্যমে পূরণ করতে চান অভিভাবকরা। সেই সঙ্গে অনেকের বাড়িতেই চলে সমবয়সী অন্য ছাত্র বা ছাত্রীর সঙ্গে তুলনা। অভিভাবকদের এই সমস্ত আচরণই শিশুমনে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। আর তার জেরে অনেকসময়েই অনেক তরুণ বা তরুণী আবেগের বশেই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। অল্প বয়সে পাহাড়প্রমাণ স্ট্রেস সামলাতে পারেন না অনেকেই। ফলে নিজেকে শেষ করে দেওয়াই তাঁদের কাছে সবচেয়ে শ্রেয় মনে হয়। এরপর ওই পরিবারের কাছে হাহাকার করা ছাড়া আর কিছুই পড়ে থাকে না।
মহারাষ্ট্রের এই মেধাবী ছাত্রের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কেন তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিলেন, সুইসাইড নোটে তিনি কী লিখে গিয়েছে, এইসব প্রশ্নের উত্তরই পরবর্তী সময়ে তদন্তে এগোলে পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আপাতত মেধাবী ছাত্রের এ হেন মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে মহারাষ্ট্রের পুলিশ।