নয়াদিল্লি: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Maitra) সাংসদ পদ খারিজ। সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন কাণ্ডে ঘুষকাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া। ধ্বনিভোটে পাস এথিক্স কমিটির সুপারিশ। সেই সুপারিশকে সিলমোহর দিয়ে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে।


বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র: উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে, মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের পঞ্চম দিনে আজ লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়ে সেই রিপোর্ট। অধিবেশন শুরু প্রথম থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। ১২টার পর পেশ করা হয় ৪৯৫ পাতার সেই রিপোর্ট। লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন বিরোধীরা। এদিন দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। 


বেলা দুটোর পর ফের শুরু হয় অধিবেশন। তৃণমূল তো বটেই বিরোধীরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে রিপোর্ট পড়ার জন্য সময় দিতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দিতে হবে লোকসভায়। কিন্তু এই দাবির পরেও দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। লোকসভায় বলার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি মহুয়া মৈত্রকে। লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ। সেই সুপারিশেই সিলমোহর দিলেন অধ্যক্ষ। 


কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে, লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক। দুবাইয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে, সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে।যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে মহুয়া মৈত্র আগেই দাবি করেছিলেন,মোদি সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি।


তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দল। শুক্রবারও তার অন্যথা হল না। এদিন সাংসদ পদ খারিজের পরই সংসদে বাইরে জমায়েত করেন বিরোধীরা। মহুয়া মৈত্রর পাশে দেখা যায় সোনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীদের। সংসদের বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ। মোদি সরকারকে আক্রমণ করে মহুয়া বলেন, "আজ আমার সাংসদ পদ খারিজ, আমি নিশ্চিত কালই আমার বাড়িতে সিবিআই যাবে।আগামী ৬ মাস আমাকে হেনস্থা করবে।বিজেপি সাংসদ বলে রমেশ বিধুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল। আদানিকে বাঁচাতে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমানোর চেষ্টা।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পাহাড়ে শিক্ষকদের ৫৯০টি শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ: মুখ্যমন্ত্রী