কলকাতা : করোনার (Corona) উদ্বেগ তো রয়েছেই। এবার ম্যালেরিয়াতেও উপসর্গহীনদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে । 'ওষুধের কোর্স অনেকে সম্পূর্ণ না করায় বাড়ছে জটিলতা। ম্যালেরিয়ার বাহক হিসেবে কাজ করছেন উপসর্গহীনরা। গত বছরের থেকে এখন ১৯ শতাংশ বেশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা', জানালেন কলকাতা পুরসভার (KMC) প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।


ভয়ঙ্কর করোনা আবহের মধ্যেই দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া। শীঘ্রই কলকাতায় পুরভোট। তার আগে ডেঙ্গি নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। আজও রাজ্যে ৮০০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত। তার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগও। 


সম্প্রতি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিধাননগর পুর-এলাকার বাসিন্দা শতাব্দী সাহা নামে এক গৃহবধূর। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ঠেকাতে পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দুই অসুখে আক্রান্তের পরিসংখ্যানও পেশ করেন তিনি। 


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "২০২০ সালে ৮৪ হাজার জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে আক্রান্তের হার ছিল ২.৬%। এ বছর এক লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে। এ বারে আক্রান্তের হার ১.৬%। গত বারে ৬ জন এবং এ বারে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।" 


আরও পড়ুন ; মশাবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, অভিযোগ বিজেপির


যদিও বিরোধীদের দাবি, রাজ্য সরকার ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান চাপার চেষ্টা করছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, যখন ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া চাপার চেষ্টা করছেন। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে গোয়া ত্রিপুরায় যাচ্ছে। মানুষকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।


কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, "পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রচার চলছে। এখন নিয়ন্ত্রণে। সকলকে সচেতন হতে হবে। ময়লা যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। পরিষ্কার যাতে থাকে সেটা দেখা আমাদের কাজ। তাহলে অসুখ হবে না আমাদের।"