করুণাময় সিংহ, মালদা: হরিশ্চন্দ্রপুরে শ্যুটআউট (Shootout)। গুলিবিদ্ধ একই পরিবারের দুই ভাই। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতির তরজা। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল(TMC)। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি (BJP)। পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনকে আটক করা হয়েছে। 


তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সহ সভাপতির দুই ছেলেকে গুলি। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে-সহ কয়েকজন। সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে মালদার মালিওর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি গ্রামে। তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতির ছেলে রফিকুল ইসলাম বাইকে করে যাচ্ছিলেন। 


উল্টোদিকে রাস্তার ধারে দু’টি বাইকে বসেছিলেন ৫ জন যুবক। অভিযোগ, রফিকুলকে লক্ষ্য করে তাদের একজন গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ভাই সফিকুল ইসলাম। 


দুষ্কৃতীরা তাঁকেও গুলি করে পালিয়ে যায়। আহতদের পরিবার ও তৃণমূলের তরফে আব্দুল বারিক নামে একজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আবদুল বারিকের বাবা কাতলামারি গ্রামে বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। 


গুলিবিদ্ধের আত্মীয় জানিয়েছেন, যারা গুলি খেয়েছে তারা তৃণমূল করে। যারা গুলি করেছে তারা বিজেপির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারদ চড়ছে মালদার রাজনীতিতে।


 মালদার তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন, বিহার থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে আমাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিতে।


মালদার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল, বিজেপি গুলি চালিয়েছে একথা তৃণমূলও বিশ্বাস করবে না। ওদের গোষ্ঠীকোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে।


মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ ছিল। পুরনো বিবাদের জেরে সংঘর্ষ কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে এলাকায় পুলিশি তল্লাশি চলছে। 


আরও পড়ুন: Godse Death Anniversary:খাস কলকাতার বুকে মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী গডসের মৃত্যুদিবস পালন! নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহল


আরও পড়ুন: "গুজরাত-অসম-উত্তরপ্রদেশও কি তাহলে টাকা দিয়ে পেয়েছে ?", স্কচ-পুরস্কার বিতর্কে শুভেন্দুকে খোঁচা ব্রাত্যর