কলকাতা: বুধবার সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যে আসার আগেই ফের বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগত গুণ্ডা দিয়ে বাংলা চালানো যাবে না বলেও মেদিনীপুরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, একুশ আমাদের, একুশ বাংলার!
মমতার বিধানসভা কেন্দ্র, ভবানীপুরে যাওয়ারও কর্মসূচি রয়েছে নাড্ডার। নাড্ডা ফিরলেই আবার বঙ্গে আসবেন অমিত শাহ। বিধানসভা ভোটের আগে ভিনরাজ্য থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বঙ্গে আনাগোনা যখন লেগেই রয়েছে, তখন মেদিনীপুরের সভা থেকে ফের একবার বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়ালেন মমতা। তিনি বলেন, বহিরাগতরা গুন্ডারা এসেছে বাংলায়। ব্লকের কর্মী, মানুষকে বলব প্রতিটি ব্লকে নজর রাখুন। কারা বহিরাগত এসেছে, টাকা বিলোচ্ছে। বহিরাগত গুণ্ডা দিয়ে বাংলা চালানো যাবে না। পাল্ট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কটাক্ষ, রোহিঙ্গারা এখানকার, প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব বহিরাগত!
ভেদাভেদের রাজনীতি করে ভোটবাক্সে ফসল তোলাই বিজেপি-তৃণমূলের বরাবরের কৌশল। এই দাবি করে আক্রমণ শানিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেসও।
কিছুদিন আগেই বাংলাকে গুজরাত বানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন মেদিনীপুর থেকে তা নিয়েও সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না। গুজরাত বাংলা চালাবে না। বিজেপি অবশ্য এদিনও এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতাদের মুখে ফের শোনা যাচ্ছে গ্রেফতারির হুমকি। ভুবনেশ্বরে নতুন জেল, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা মমতা বলেন, জেলে ভরলে আজাদ হয়ে যাব। আজাদির লড়াই লড়ব। পাশাপাশি চুরি করে টাকা রাখার ব্যাঙ্ক বিজেপি, লুঠেরার টাকার জনা বড় আইডি কার্ড বিজেপি, এমন মন্তব্যও করেন তৃণমূলনেত্রী।
২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের পালাবদলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল জঙ্গলমহল। কিন্তু, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে গিয়েছোে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে, মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার হুঙ্কার তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।