কলকাতা: রাজ্যে এখনও কমেনি করোনা পরিস্থিতি, এর মধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে উপনির্বাচন। ভবানীপুর কেন্দ্রে লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ এই আবহে পুজো নিয়ে এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


ঠিক কী জানিয়েছেন? 


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,  "আগের বছর যেভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে পুজো করা হয়েছে, সেভাবেই এবছর পুজো হবে। চিন্তার কারণ নেই। নিশ্চিন্তে পুজো করুন। কলকাতায় প্রায় আড়াই হাজার পুজো হয়। রাজ্যে প্রায় ৩৬ হাজার। পুজো কমিটি করোনা বিধি মেনেই ছোট করে পুজো করুন।"


করোনা আবহে পুজো কমিটিকে মাস্ক সরবরাহ করার নির্দেশও দেন তিনি। মমতা  বলেন, "যত বেশি মাস্ক, তত বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে পারব। রাতের পুজো পরিক্রমা পরে ভেবে দেখা হবে, আগের বছর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত উপনির্বাচনের পর নেওয়া হবে। তৃতীয় তরঙ্গ না আসলে এটা ভেবে দেখব।" 


আরও পড়ুন, পুজোয় অনুদান বহাল, কমিটিগুলি পাবে ৫০ হাজার টাকা করে, জানালেন মুখ্যসচিব



মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন যে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন প্রক্রিয়া চলবে।  পরিস্থিতি বুঝে ১৮ অক্টোবর কার্নিভাল নিয়ে সিদ্ধান্ত। তা পরে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত। ১৯ তারিখে নবী উৎসব এবং ২০ তারিখ লক্ষ্মী পুজো। আমাদের কার্নিভালের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে। তাই অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত হবে। সরকারের সব দফতরকে অনুরোধ করব সচেতনতার প্রোগ্রাম পুজোর মাধ্যমে তুলে ধরার। কোভিড সচেতনতা প্রচার করতে হবে।  


মুখ্যসচিবের সঙ্গে পুজো আয়োজকদের সঙ্গে  বৈঠকের পর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করোনা পর্বে সতর্কতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি  অর্থনীতিতে পুজোয় গুরুত্বের উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী একটি সমীক্ষার উল্লেখ করে জানিয়েছেন, পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩২,৩৩৭ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এর থেকে সরকার জিএসটি বাবদ আয়ও করে। প্রচুর মানুষের উপার্জনও পুজোর সঙ্গে জড়িত।