কলকাতা: করোনাকালে নেতাজী ইন্ডোরে পুজো আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে মুখ্যসচিব জানালেন, এবারও দুর্গাপুজো কমিটি পিছু ৫০ হাজার করে অনুদান দেবে রাজ্য। উল্লেখ্য, কয়েক বছর পুজো কমিটিগুলি অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। এবারও তা বহাল থাকছে বলে জানালেন মুখ্যসচিব।  গত কয়েক বছরের মতো এবারও দমকল বা কলকাতা পুরসভা ও অন্যান্য পুর কর্তৃপক্ষ ও পঞ্চায়েতগুলি তাদের পরিষেবার জন্য কোনও অর্থ নেবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ ব্যয়ের অর্ধেক ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। 


 মুখ্যসচিবের সঙ্গে পুজো আয়োজকদের সঙ্গে  বৈঠকের পর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করোনা পর্বে সতর্কতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি  অর্থনীতিতে পুজোয় গুরুত্বের উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী একটি সমীক্ষার উল্লেখ করে জানিয়েছেন, পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩২,৩৩৭ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এর থেকে সরকার জিএসটি বাবদ আয়ও করে। প্রচুর মানুষের উপার্জনও পুজোর সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের বছরের বিধি মেনে এবছরও হবে  পুজো।  পুজোর রাতে করোনা বিধিনিষেধে  ছাড় কিনা, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার ১৮ অক্টোবর কার্নিভাল নিয়েও পরে ঘোষণা হবে। নেতাজী ইন্ডোরে পুজো আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে, ‘আগের বছরের মতো কোভিড বিধি মেনে পুজো করতে হবে। পুজো সুষ্ঠুভাবে করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, নিশ্চিন্তে পুজো করুন।
তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যে ৩৬ হাজার ক্লাব ও কলকাতায় আড়াই হাজার ক্লাবে পুজো হবে। করোনা পরিস্থিতিতে যত বেশি মাস্ক ব্যবহার করতে পারা যায়, ততই ভালো। করোনা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পুজোর সময় এ ব্যাপারে প্রচার করতে হবে। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,  ‘পুজোর রাতে ছাড় থাকবে কিনা, পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘১৫-১৮ অক্টোবর থেকে বিসর্জন করা যাবে। পরিস্থিতি বুঝে ১৮ অক্টোবর কার্নিভাল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


তিনি আরও বলেছেন, ‘আজকে থেকেই পুজোর দামামা বেজে গেল।’