শিলং: 'সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অতুলনীয় পশ্চিমবঙ্গ', মেঘালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান। এদিন বক্তব্যের মাঝে তিনি, সরকারি কর্মসংস্থান থেকে সরকারি একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কথাও। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কী ? বলে তার অর্থও বুঝিয়ে দেন তিনি। এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা কীভাবে মিলবে ? পরিবারের কার হাতে তুলে দেওয়া হয় ? মেঘালয়ে গিয়ে তাও স্পষ্ট করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকেই এসে অনেক কথা বলেন। ভোটে জয়ী হলে সরকারে এসে, জলের প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির কথা বলেন, তাহলে সেসব নির্বাচনের আগে কেন নয় ? বিরোধীদের দিকে নাম না করে প্রশ্ন ছুঁডে় দেন মমতা।


প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে, বিরোধী শিবিরের মধ্যে বিশেষ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব একাধিকবার বাংলায় এসেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রত্যেকেই একাধিকবার সভা করে গিয়েছেন। বাংলায় ভোটে জিতলে বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকারের কথা বারবার বলতে শোনা গিয়েছে। তবে বাংলায় বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকার ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে পানীয় জল, জলের প্রকল্পের কথা বলেছেন অমিত শাহ। তবে শেষমেষ একুশের নির্বাচনে বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকার প্রতিষ্ঠা পায়নি। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে মমতার সরকার। সে সময় কোভিড পরিস্থিতি চলছিল। জয়ের পর তিনি বাংলায় শিল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। এবং সেইমতই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS) হয়। উঠে আসে কর্মসংস্থানের কথা। আর এবার মেঘালয়ে গিয়ে নাম না করেই তিনি এদিন এই ইস্যুকেই সামনে রেখে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, 'মেঘালয় গুয়াহাটি থেকে শাসিত হবে না, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই' শিলংয়ে হুঙ্কার অভিষেকের


উল্লেখ্য, আজ, মেঘালয় সফরের দ্বিতীয় দিনে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনভেনশন হলে বক্তৃতা দেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তৃণমূল কর্মীদের এখন থেকেই কোমর বেঁধে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ার বার্তা দেবেন মমতা। আজ কর্মী সম্মেলনে থাকার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কর্মী সম্মেলনের আগে, ২২ নভেম্বর মেঘালয়-অসম সীমানা-বিবাদে মৃত ৫ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী। কর্মী সম্মেলন শেষে প্রাক্ বড়দিনের উৎসবে যোগ দেবেন তিনি। আগামীকাল কলকাতায় ফেরার কথা তাঁর।