কলকাতা : বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Bande Bharat Express) উদ্বোধন। মায়ের মৃত্যুর জেরে আজ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। অনুরোধ করলেন বিশ্রাম নেওয়ারও।


মমতা বলেন, "আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিশাল বড় ক্ষতির একটা দিন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, উনি এই কঠিন মুহূর্তে আপনাকে শক্তি ও আশীর্বাদ দিন। আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ আপনার এরাজ্যে আসার কথা ছিল সেইজন্য। কিন্তু, আপনার মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে আপনি আসতে পারলেন না। কিন্তু, আপনি ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন। আপনার কাছে অনুরোধ করব, এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করুন এবং বিশ্রাম করুন। কারণ, আপনি সদ্য শেষকৃত্য থেকে ফিরেছেন।"


প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণ-


আজ প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন। নিজেই ট্যুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি থেকে গাঁধীনগরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চোখের জলে মাকে শ্রদ্ধা জানান। মায়ের মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে ভাইয়ের বাড়ির বেরোন তিনি। শববাহী গা়ড়িতে মায়ের মরদেহের সঙ্গে গাঁধীনগরের সেক্টর ৩০-র শ্মশানে যান প্রধানমন্ত্রী। নিজে হাতেই মায়ের মুখাগ্নি করেন তিনি। চোখের জলে শেষ বিদায় জানান তাঁর মাকে। 


মায়ের মৃত্যুর জেরে রাজ্যে আসতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, ভার্চুয়ালি তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন। হাওড়ায় অনুষ্ঠানঞ্চে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তাল কাটে। ভিক্টোরিয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে হাওড়া স্টেশনে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। রাজ্যপাল, রেলমন্ত্রীর সামনেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বারবার রাজ্যপাল ও  রেলমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও থামেননি বিজেপি কর্মীরা। এমনকী শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও তাঁদের থামতে মাইকে আবেদন জানান। এদিকে স্লোগান শুনে ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চেই ওঠেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  


পরে বন্দে ভারতে এক্সপ্রেসের উদ্বোধন উপলক্ষে নিজের বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের গোড়াতেই আসে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণের কথা। এছাড়াও তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয়ের কথা তুলে ধরেন। বলেন, "আজ আমার কাছে খুব খুশির দিন। যখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম, তারাতলা-জোকার উদ্বোধন হয়েছিল। সেই সময় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের। আমি ধন্যবাদ জানাব, তৎকালীন কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কারণ, উনি জোকা ও তারাতলা স্টেশনের জন্য জমির ব্যবস্থা করেছিলেন। এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও ধন্যবাদ। আজ আমি খুশি।"


আরও পড়ুন ; বন্দে ভারতের সামনে মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়াতেই প্ল্যাটফর্ম থেকে ভেসে এল জয় শ্রীরাম, ছুটে এসে পরিস্থিতি সামলালেন রেলমন্ত্রী