কলকাতা : ১৬ অগাস্ট রাজ্যে "খেলা দিবস" পালিত হবে। আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু, কেন ওই দিনটিকেই তিনি বেছে নিলেন ? এবিষয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বললেন, "১৬ অগাস্ট খেলা দিবস পালন করছি আমরা । ক্রিকেটের একটা ঘটনা ঘটেছিল। '৭০-এর দশকে একটা ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে অনেকে আহত হয়েছিলেন, মারা গেছিলেন। আগে কলকাতার অনেক ময়দান, ক্লাবে দিনটি পালিত হত। কিন্তু এখন আর এটা পালন হয় না। হয়ত কোথাও ভেতরে ভেতরে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, অনেকেই ভুলে গেছেন। তা ছাড়াও ১৬ অগাস্টটা ১৫ অগাস্টের পরের দিন। ঠিক স্বাধীনতার পরের দিন। মানুষের স্বাধীনতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, মানুষের অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তার জন্য । দেশে আজ স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে। আমাদের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে গেছে। সেই কণ্ঠ স্তব্ধতা থেকে মুক্তি পাক। তাই খেলা দিবসের মানে আছে।" 


এর পাশাপাশি তিনি জানান, ওইদিন গ্রামে-গঞ্জে, বিভিন্ন ক্লাবকে ১ লক্ষ ফুটবল দেওয়া হবে যুব ও ক্রীড়া বিভাগ থেকে। আইএএফ-এরও প্রায় ২০০ ক্লাব আছে। তাদের দশটা করে বল দেব। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার বল তৈরি হয়ে গেছে। 


গতকাল ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও মমতার ভাষণে উঠে আসে খেলা দিবস-এর কথা। তিনি বলেন, “খেলা একটা হয়েছে, আবার হবে। বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। ১৬ অগাস্ট রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালিত হবে।“


সম্প্রতি বিধানসভায় জবাবি ভাষণে আগামী দিনে গোটা রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালন হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন পর্বে তৃণমূলের অন্যতম স্লোগান ছিল "খেলা হবে"। এই স্লোগান তুলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তোলে ঘাসফুল শিবির। এই স্লোগানের জেরে নির্বাচন কমিশনের শো-কজ নোটিশের মুখে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই স্লোগানের বিরোধিতা করে বিরোধীরা। কমিশনে নালিশও জানায়। গোটা নির্বাচন পর্বে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে প্রচার চালায় শাসকশিবির।