মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : দার্জিলিংয়ে আরও 'লাল' অতিথিদের আগমন। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে জন্ম নিল আরও একটি রেড পান্ডা। খুদে অতিথি ও তার মা ইয়েসি দু'জনেই সুস্থ-সবল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি মরশুমে এই নিয়ে পঞ্চম রেড পান্ডার জন্ম হল গোটা দেশে রেড পান্ডারের প্রজননের ক্ষেত্রে কো অর্ডিনেটর জু হিসেবে কাজ করা দার্জিলিং জু'তে। আপাতত দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে সংখ্যা যার জেরে রেড পান্ডার বেড়ে দাঁড়াল ২৬। বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডার পরিবার বৃদ্ধিতে খুশির রেশ তোপকেইদারার প্রজনন কেন্দ্রের কর্মীরাও। খুশির রেশ বাবা পাবুর কাজকর্মেও।
এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়ার মুখে রেড পান্ডা। ভারতের যে তিনটি রাজ্যে রেড পান্ডা পাওয়া যায়, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। এই পরিস্থিতিতে নতুন দুই পান্ডার আবির্ভাবে খুশির হাওয়া পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে। কর্মীরা আনন্দের রেশ নেই নতুন দুই সদস্যকে পেয়ে। পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও জানিয়েছেন, 'মা সন্তান সুস্থ আছে। আপাতত এখানে রেড পান্ডার সংখ্যা বেড়ে হল ২৫।' গত ৮ জুলাই পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের তোপকেইদারার প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নিয়েছিল দুটি রেড পান্ডা। যার আগে চলতি মরশুমেই আরও দুটি রেড পান্ডার জন্ম হয়েছিল দার্জিলিং জু'তে।
মূলত পূর্ব হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকাতেই রেড পান্ডা দেখা যায়। বিড়ালদের থেকে আকৃতিকে কিছুটা বড় এরা। ছোট চোখ, লম্বা লোমশ লেজ ওয়ালা রেড পান্ডারা মূলত গাছে গাছেই বিচরণ করে। দৈহিক সৌষ্ঠবের কারণেই রেড পান্ডাদের শরীর প্রচণ্ড নমনীয়। লম্বা লোমশ লেজের সাহায্যে যেমন ঠান্ডার সঙ্গে লড়ার শক্তি এরা জোগায় তেমনই গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে রক্ষা করে শরীরের ভারসাম্য।
নেপালি শব্দ 'পোনয়া' শব্দ থেকে এসেছে পান্ডা শব্দটি। নেপালিতে যার অর্থ বাঁশ বা গাছ খেয়ে বাঁচা প্রাণী।