কলকাতা : করোনা আক্রান্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই জানান জেপি নাড্ডা। ট্যুইটারে নিজে এই খবর দেন তিনি। জানিয়েছেন, আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। এরপরই ট্যুইট করে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এই সময় আমার প্রার্থনা তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আছে।"


রবিবার হিন্দিতে একটি টুইটবার্তায় নাড্ডা লেখেন, "করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আমি পরীক্ষা করিয়েছিলাম। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতেই আইসোলেশনে আছি। কোভিডের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলছি। আমার আবেদন, গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিন।"
উল্লেখ্য, বুধবার রাজ্যে এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। দু'দিনের সফরে ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন। এই সফরের দুদিনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দলের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুযের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। কীভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে? স্পষ্টতই, নাড্ডার আক্রান্ত হওয়ার খবরে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।
এদিকে ডায়মন্ড হারবারে সফর ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকানো হয় নাড্ডার কনভয়। নাড্ডার কনভয় সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যপালের রিপোর্টে যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। রিপোর্ট পেয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করেছে। যা নিয়ে চরমে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্র রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। রাজনৈতিক সংঘাতকে সরিয়ে এবার নাড্ডার সুস্থতা কামনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।