কলকাতা: ‘দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে হোক কালীপুজো। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।


দুর্গাপুজোর মতো বাকি পুজোতেও বিধিনিষেধ চেয়েও মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলায় আবেদন জানানো হয়েছে, কালীপুজো, কার্তিকপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো ও বড়দিনেও কড়াকড়ি অব্যাহত থাকুক।


বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে দুর্গাপুজোয় বিধিনিষেধ নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিচারপতি বলেন, ‘পুজো-নির্দেশ বাস্তবায়নে রাজ্যের ভূমিকা অনুকরণীয়। অসাধারণ কাজ করেছে রাজ্য। ‘কোথাও কোথাও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, তবে সার্বিকভাবে রাজ্য ভাল কাজ করেছে।


সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্যই দুর্গাপুজোয় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে হোক কালীপুজো।


মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কালীপুজোয় বাজি না ফাটানোর আবেদন জানানো হয়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি ফাটাবেন না, আবেদন, বাজি থেকে যে দূষণ ছড়ায় সেই দূষণ কোভিডের ক্ষেত্রে অত্যন্ত মারাত্মক, বিসর্জনের শোভাযাত্রা নয়।


সেই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাজি নিয়ে রাজ্যবাসীর প্রতি সরকার যে আবেদন করেছে, তা সকলের মানা উচিত। বিচারপতির মতে, করোনা মানুষের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। বাজির দূষণে সেই ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।


প্রসঙ্গত, বিধিনিষেধ সংক্রান্ত মামলার পাশাপাশি, কালীপুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে আরেকটা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।


কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দীপাবলিতে বাজি নিষিদ্ধ করেছে রাজস্থান সরকার। ওড়িশা সরকারও কালীপুজোয় বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে।