উত্তরপ্রদেশ: আবারও অদ্ভুদকাণ্ড যোগীরাজ্যে। খাবার সময়ে স্বামীকে স্যালাড দিতে দেরি হয়েছিল স্ত্রীর। রেগে যায় স্বামী, আর সেই রাগেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার গোগওয়ান জালালপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সময়ে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছে তাঁর ছোট একটি ছেলেও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মুরলী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মুরলী নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে থানায়।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, প্রতিদিন রাতেই খাওয়ার পাতে স্যালাড খেতেন মুরলী। তবে এ দিন খানিক্ষণ দেরি হয়ে যায়, আর তাতেই বিপত্তি। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, রোজের মতো এদিনও মুরলী রাতের খাবারের সঙ্গে স্যালাড চেয়েছিলেন। তবে সেই সময়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী। খানিক দেরি হয়ে যায় স্যালাড দিতে। খাবারের সঙ্গে স্যালাড না পেয়েই বেজায় চটে যান ব্যক্তি। শুরু হয় অশান্তি।
রাগের বশে সামনে থাকা কোদাল দিয়েই স্ত্রীকে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনায় বাবাকে থামাতে সামনে এগিয়ে আসে তাঁদের ছেলে। তখন কোদালের আঘাতে সেও আহত হয়।প্রতিবেশীরাও একই কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, সোমবার রাতে স্যালাড দেওয়া নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা তুঙ্গে পৌঁছয়। যার পরিণতি হয় ভয়াবহ।
মুরলী এবং তাঁর স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন রাতেই। এসে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মুরলীর স্ত্রী এবং ছেলে। পুলিশকে খবর দেওয়া পাশাপাশি ওই প্রতিবেশীরাই মুরলীর স্ত্রী এবং ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাকালে গেলে মুরলীর স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আপাতত উত্তরপ্রদেশের একটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তাঁদের ছেলে।