নয়াদিল্লি: ২০১৩-য় রাহুল গাঁধী সাংবাদিক বৈঠকে সরকারি অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যোজনা কমিশনের সে সময়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ আহলুওয়ালিয়ার কাছে জানতে চান, তাঁর পদত্যাগ করা উচিত কিনা। মন্টেক নিজে এই দাবি করেছেন।

মন্টেক একটি বই লিখেছেন, নাম ব্যাকস্টেজ: দ্য স্টোরি বিহাইন্ড ইন্ডিয়াজ হাই গ্রোথ ইয়ার্স। তিনি বলেছেন, মনমোহন তখন আমেরিকা সফরে ছিলেন। তাঁর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ইস্যুতে পদত্যাগ ঠিক নয়।

মনমোহন সিংহ সরকারকে তুমুল বিড়ম্বনায় ফেলে রাহুল গাঁধী আদালতে অপরাধী আইনপ্রণেতাদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টকে পাশ কাটানো ইউপিএ সরকারের একটি বিল প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেন। রাহুল বলেন, এই অর্ডিন্যান্স ‘কমপ্লিট ননসেন্স, এটা ছিঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা উচিত’। মনমোহন অবশ্য আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে পদত্যাগের সম্ভাবনা অস্বীকার করেন, যদিও তিনি যে অসন্তুষ্ট তা বোঝা গিয়েছিল।

মন্টেক বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক গিয়েছিলেন। তাঁর ভাই, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস সঞ্জীব ফোন করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে তিনি একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেটি তিনি মন্টেককে ইমেল করেন, বলেন, তাঁর আশা, এতে মন্টেক অস্বস্তিতে পড়বেন না। সেই নিবন্ধ সংবাদ মাধ্যমে দারুণ প্রচারিত হয়, বলা হয়, লেখক যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভাই। লেখাটি তিনি পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি নিঃশব্দে তা পড়েন। তারপর আচমকা জিজ্ঞেস করেন, তাঁর কী মনে হয়, তাঁর কি পদত্যাগ করা উচিত।

মন্টেক বলেছেন, কংগ্রেস দাবি করে, রাহুল স্বাভাবিকভাবেই তাদের নেতা, তাঁকে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে। তাই তিনি যখন ওই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করেন, দলের যে বরিষ্ঠ নেতারা আগে অর্ডিন্যান্সটি সমর্থন করেছিলেন, তাঁরাও পুরোপুরি ঘুরে যান। অথচ এঁরাই আগে জনসমক্ষে তা আনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।