নয়াদিল্লি: দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকেই দায়ী করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তিনি বলেছেন, ২০১৬-তে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নোট বাতিলের মতো 'অবিবেচনাপ্রসূত' সিদ্ধান্তর কারণেই দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে এতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনাও মোদি সরকার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ভোট-মুখী কেরলে রাজীব গাঁধী ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে এ কথা বলেছেন মনমোহন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রে ঋণ সংকটের ছায়া ঘনাচ্ছে মন্তব্য করে মনমোহন বলেছেন, কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঋণ সংক্রান্ত সমস্যায় সাময়িক পদক্ষেপে আসন্ন সংকটের বিষয়টি থেকে নজর এড়িয়ে থাকা যায় না।
মনমোহন বলেছেন, বেকারত্বের হার বেশ চড়া ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবস্থা বেহাল। এটি ২০১৬-তে নেওয়া নোটবাতিলের মতো 'অবিবেচক' সিদ্ধান্তের ফল।
রাজীব গাঁধী ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিসের এই শীর্ষ সম্মেলন কেরলের উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা , ভিশন ডকুমেন্ট লঞ্চের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। মনমোহন বলেছেন, কেরল সহ বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের আর্থিক অবস্থা খুবই বেহাল। রাজ্যগুলিকে মাত্রাতিরিক্ত ধার নিতে হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের বাজেটে অসহনীয় বোঝা তৈরি করেছে।
মনমোহন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রবাদ ও রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা ভারতের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শণের ভিত্তি। সংবিধানে প্রতিফলিত রয়েছে এই ভাবাদর্শই। কিন্তু এই আদর্শকে কেন্দ্রের বর্তমান সরকার কোনওভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এর আগেও মোদি সরকারে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই পদক্ষেপকে ‘পরিকল্পিত লুঠ’ ও ‘সাধারণ মানুষের টাকা তছরুপের সামিল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।