নয়াদিল্লি: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ৯২ বছর বয়সে দিল্লির AIIMS-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনমোহনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সকলে। (Manmohan Singh Last Rites)
বৃহস্পতিবার রাতে AIIMS-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মনমোহন। জানা গিয়েছে, রাতে বাড়িতে জ্ঞান হারান তিনি। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি AIIMS-এ আনা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পৌনে দু'ঘণ্টার লড়াইয়ের পর মারা যান মনমোহন। তাঁর পরিবার, কংগ্রেসের নেতারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। গিয়েছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। (Manmohan Singh Death)
দিল্লি সূত্রে খবর, শনিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মনমোহনের। আজ রাতেই হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সমস্ত সরকারি কাজকর্ম কালকের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডাকা হয়েছে বলে খবর। মনমোহনের প্রয়াণে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সকাল ১১টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক, তার পরই সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হতে পারে।
মনমোহনের প্রয়াণে কংগ্রেসের তরফেও দলের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের উদযাপনও বন্ধ থাকছে আগামী সাতদিনের জন্য। দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, মনমোহনের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে, তাঁর প্রয়াণে শোকপালনেই এই সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে দিল্লি AIIMS চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক এবং বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেখানে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদারকি চলছে। নামানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী।
২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন। বেশ কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েক মাসে আরও ভেঙে পড়েছিল শরীর। শেষ বার গত বছর সংসদে দেখা যায় মনমোহনকে। এ বছরের গোড়ায় রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে অবসর নেন মনমোহন। ইদানীং জনসমক্ষে সেভাবে দেখাও যেত না তাঁকে। ৯২ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।
AIIMS জানিয়েছে, বাড়িতে জ্ঞান হারান মনমোহন। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর। তার পর আনা হয় হাসপাতালে। ভর্তি করা হয় জরুরি বিভাগে। ICU-তে চিকিৎসকরা দেখছিলেন মনমোহনকে। কিন্তু সব চেষ্টা বৃথা করে চলে গেলেন মনমোহন। এর আগে একাধিক বার বাইপাস সার্জারি হয় মনমোহনের। শেষ বয়সে চেহারা একেবারে ভেঙে গিয়েছিল।