কার্গিল: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত কার্গিলের ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল জামিয়া মসজিদ (Kargil Jamia Masjid Fire)। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই আগুন ধরে যায় মসজিদে (Ladakh News)। বিষয়টি চোখে পড়ার মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ফেলে মসজিদ চত্বর। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। শুরু হয় আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে আগুনের লেলিহান শিখায় মসজিদটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।


কার্গিলের ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল জামিয়া মসজিদে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড


লাদাখের কার্গিলের অন্তর্গত দ্রাস এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল জামিয়া মসজিদ। এ দিন সন্ধেয় আচমকাই আগুন ধরে যায়, এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় দমকল পরিষেবা নেই। তাই কার্গিল থেকে দমকলকে আসার অনুরোধ জানানো হয়। তাতেই আগুনের গ্রাসে গোটা মসজিদ চত্বর চলে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।



আরও পড়ুন: India News:পাথর-খাদানে ধস নেমে পশ্চিমবঙ্গের ৫ বাসিন্দা-সহ ৮ জনের মৃত্যু মিজোরামে, ট্য়ুইট মুখ্য়মন্ত্রীর


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দমকল এসে না পৌঁছনোয় সেনার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাই। বালতি বালতি জল এনে ছোড়া হয়। ঢের পরে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। তত ক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আগেও এলাকায় এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে দাবি সকলের। 



আগেও এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, কিন্তু দমকল পরিষেবা নেই বলে দাবি স্থানীয়দের


লেহ্ স্বতন্ত্র পর্বত উন্নয়ন পরিষদ-কার্গিলের চিফ একজিকিউটিভ কাউন্সিলর ফিরোজ খান গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।  এলাকায় দমকল এবং জরুরি পরিষেবা না থাকা নিয়ে ক্ষোভের সুরও ধরা পড়েছে তাঁর কথার মধ্যে। তিনি বলেন, "কেন্দ্রশাসিত লাদাখে দমকল এবং জরুরি বিভাগ জনগণের সম্পত্তি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তহবিলে যথেষ্ট থাকা সত্ত্বেও মহকুমা স্তরে দমকল পরিষেবা দেওয়া গেল না। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে অনুরোধ, মহকুমা স্তরে দমকল বিভাগ গড়ে তুলতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।"