নয়াদিল্লি: সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর এই প্রথম কাশ্মীর যাচ্ছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের একটি দল। ভূ-স্বর্গের বিভিন্ন অঞ্চল চিহ্নিত করে সেখানে স্কুল-কলেজ তৈরি করা সম্ভব কিনা, সে বিষয়েই রিপোর্ট দেবেন সরকারি আধিকারিকরা। চলতি মাসের ২৭-২৮ অগস্ট ওই দলের কাশ্মীর যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।


পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, “সচিব সহ শীর্ষ পদাধিকারিকদের একটি দল অগাস্টের ২৭-২৮ তারিখে কাশ্মীর উপত্যকা পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে কোথায় স্কুল, কলেজ ও কারিগরি উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু করা সম্ভব, তা দেখে আসবেন তাঁরা।” উপত্যকায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমস্ত সম্ভাবনার বিষয়েই তাঁদের এই কাশ্মীর পরিদর্শন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কাশ্মীরের পর জম্মু এবং লাদাখেও যাবে এই বিশেষ দল।


সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের আগে কেন্দ্র যে ধরনের সতর্কতা এবং পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একটি ‘দায়িত্বশীল সরকারের পরিচায়ক’, মত নাকভির। সরকার কি কোনও ভাবে তাদের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হাটবে? সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর সাফ জবাব, “মোদী সরকার অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখান থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ হওয়ার কারণে ভূ-স্বর্গে উন্নয়নের সব রাস্তাই খুলে গিয়েছে। লেহ্, লাদাখ, কার্গিল, জম্মু ও কাশ্মীর এই সব অঞ্চলেই স্কুল-কলেজ তৈরি করা থেকে শুরু করে হাসাপাতাল নির্মাণ, সবই সরকার করবে বলে জানিয়েছেন নকভি।


এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী বিরোধীদের একহাত নিয়ে বলেন, “৩৭০ ধারা বিলোপের পর অনেক বিরোধী বন্ধুই মনে করেছিলেন আগুন জ্বলবে। কিন্তু আসলে ঘটেছে তার উল্টোটাই।” তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকেই সরকারে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। মন্ত্রী আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, “মানুষ বুঝতে পেরেছে আর্টিকেল ৩৭০-ই তাঁদের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতদিন এই কারণেই এখানকার (জম্মু-কাশ্মীর) মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।” উপত্যকার মানুষ সরকারি সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে, সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন মুখতার আব্বাস নকভি।