নীলগিরি: মাদ্রাজ হাইকোর্টের ২০১১ সালের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টও মিঠুন চক্রবর্তীর উটির রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল। শুধু মিঠুনের নয়, মুদুমালাই অভয়ারণ্যে গড়ে ওঠা সবকটি রিসর্ট ও নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে। এলিফ্যান্ট করিডোরের ওপর ওই নির্মাণগুলি গড়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।


২০১১-য় মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলেছিল, তামিলনাড়ু সরকারের ওই এলাকাকে এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ঘোষণা করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে মিঠুন সহ ৩২ জন বেসরকারি জমি ও রিসর্ট মালিক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ৩ সদস্যের কমিটি এবার রিসর্ট মালিকদের আপত্তিগুলো শুনবে। এ বছর জানুয়ারিতে এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, হাতি চেহারায় বিশাল, অত্যন্ত শক্তিশালী আবার একই সঙ্গে অসহায়। অসহায় আমাদের বাস্তুতন্ত্রও।

গুরুত্বপূর্ণ এলিফ্যান্ট করিডোরে বেআইনিভাবে নির্মাণকাজ চলছে বলে জেলা কালেক্টর রিপোর্ট দেওয়ায় গত বছর অগাস্টে সুপ্রিম কোর্ট নীলগিরির রিসর্টগুলি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কালেক্টরকে তারা বলে, মুদুমালাই টাইগার রিজার্ভ বাফার জোনে যে সব রিসর্ট গড়ে উঠেছে সেগুলোর কাগজপত্র পরীক্ষা করা হোক, বেআইনি কিছু দেখলে সিল করা হোক যাবতীয় রিসর্ট। এলিফ্যান্ট করিডোরে রিসর্ট গড়ে ওঠার বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মিঠুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান, বলেন, তাঁর রিসর্টও ওখানকার বাস্তুতন্ত্রের অংশ, স্থানীয় আদিবাসীদের সেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে।