ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইন্দোরের তাট পাত্তি বাখাল এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি টিমের ওপর হামলায় অভিযুক্ত এরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় যুক্ত বাকিদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোরের পুলিশ সুপার (সাফারা) ডি কে তেওয়ারি। ধৃতদেরও বাকিদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার একটি প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুরকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে পাথর ছুঁড়তে ছুঁড়তে তাড়া করছে একদল লোক। কোভিড ১৯ য়ে মৃত এক ব্য়ক্তির বাড়ির লোকজনকে পরীক্ষা করতে যাচ্ছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের প্রবল বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। ইট-পাথরের ঘায়ে কেউ জখম হননি বটে, তবে কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩৩৬, ১৪৭ ও ২৬৯ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়েছে এ ব্যাপারে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর। তিনি কড়া বার্তা দিয়ে ট্যুইট করেছেন, এটা কিন্তু স্রেফ একটা ট্যুইট নয়। কঠোর হুঁশিয়ারি দিলাম। মানবাধিকার থাকবে শুধু মানুষের জন্যই।


মধ্যপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে স্ক্রিনিং করতে গেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাথর নিয়ে তাড়া করার তীব্র নিন্দা করেছেন মুসলিম ধর্মগুরুরা। তাঁদের বক্তব্য, ডাক্তারদের ওপর ভরসা রাখতে হবে আমাদের। তাঁরা নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কারও উচিত নয় তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা। যদিও ভোপালের এক ধর্মগুরুর খেদ, এমন বেশ কিছু ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে যা দেখলে মনে হবে রোগীরা ক্রিমিনাল।

৫৪ বছর বয়সি ব্য়ক্তিটিকে ধরে মধ্য়প্রদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮। মোতি তাবেলা এলাকার বাসিন্দা লোকটিকে ২৯ মার্চ মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ২দিন ধরে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর সর্দি-কাশি ছিল না বলে জানা গিয়েছে। এমনকী সাম্প্রতিক অতীতে তিনি বাইরে কোথাও নাকি যাননি। তিনি কোনও কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, সে ব্যাপারেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।