কেরলের কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালাও পিএমও-র বক্তব্যটি ট্যুইটে উল্লেখ করে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ প্রাসঙ্গিক নথিপত্র দেখতে চেয়ে পেশ করা আরটিআই আবেদনে এটাই পিএমও-র জবাব। এরপর কেউ আপনার নাগরিকত্বের নথি দেখতে চাইলে তাঁকে একই জবাব দিন! গত ডিসেম্বর মোদি সরকার সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশ করানোর পর প্রবল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। নয়া আইনে মুসলিমরা বাদে ভারতে আসা তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি, এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। অভিযোগ, এর ফলে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে কেননা সিএএ চালু হওয়ার পর ভবিষ্যতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) প্রক্রিয়া চালিয়ে এদেশের মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল ঘোষণা করবে মোদি সরকার। এনআরসি-তে মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলা হবে। সংসদের দুই কক্ষেই সিএএ ছাড়পত্র পাওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, অশান্তি হয়েছে। জন্মসূত্রে ভারতীয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির নাগরিকত্বের শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই, আরটিআই আবেদনের জবাবে বলল পিএমও
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 03 Mar 2020 05:52 PM (IST)
গত ডিসেম্বর মোদি সরকার সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশ করানোর পর প্রবল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। নয়া আইনে মুসলিমরা বাদে ভারতে আসা তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি, এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন।
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেখতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে আবেদন পেশ করেছিলেন এক ভারতীয় নাগরিক। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকে দেওয়া জবাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জন্মসূত্রেই ভারতীয়, তাঁর জন্মের শংসাপত্র নেই। জনৈক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শুভঙ্কর সরকার নামে আবেদনকারী ব্যক্তি পিটিশনে বলেছিলেন, অনুগ্রহ করে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির নাগরিকত্বের শংসাপত্রটি দেখান। পিএমও-র জনৈক প্রবীণ কুমার জবাবে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের ৩ নম্বর ধারার সাপেক্ষে জন্মসূত্রেই ভারতের নাগরিক, অতএব তাঁর ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের শংসাপত্রের দরকার হয় না। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে শংসাপত্র লাগে। পিএমও-র এহেন প্রতিক্রিয়া অস্বচ্ছ বলে মনে করা হচ্ছে। তারা যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লাগবে না, তখন নাগরিকত্ব ইস্যুতে দেশবাসীর মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।