নয়া দিল্লি: মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে চিন্তা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৫০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তবে সেদিকে নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। এমনটা জানান হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগকে অতিমারি (Pandemic) ঘোষণার প্রয়োজন আসেনি বলেই জানান হয়েছে।  


শনিবার একটি বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জরুরি কমিটির তরফে বলা হয়েছে যে এই মাঙ্কি ভাইরাসের এমনভাবে ছড়িয়ে পড়া বেশ অস্বাভাবিক ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকায় মূলত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সে দেশে বহুদিন ধরেই এই রোগ নিয়ে গাফিলতি করা হয়েছে। হয়নি সবরকম যথাযথ চিকিৎসাও। সেই বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও বলে, "আমাদের কমিটির অনেকের অবশ্য অন্য মত ছিল। তবে সকলের মত নিয়েই জানান হচ্ছে এখন যে ধরনের সংক্রমণ চলছে তা নিয়ে জরুরি অবস্থা জারির সময় আসেনি।"  


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে যে মাঙ্কি পক্স নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা চলছে। স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের একাধিক দেশ ও আমেরিকায় মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগাম সাবধান হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই একাধিক দেশকে সতর্ক করেছে তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সঠিক সচেতনতা না থাকলে করোনার মতো অতিমারীও হয়ে উঠতে পারে। 


আরও পড়ুন, খড়গপুরে শ্যুটআউট, পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল সমর্থকের দেহ        


এদিকে, এতদিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল শ্বাসনালী, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ ইত্যাদির মাধ্যমে মানব শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। কিন্তু সম্প্রতি মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা মনে করছেন যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। পোশাক বা ড্রপলেটের মাধ্যমেই শুধু নয়, যৌন সংসর্গের (Sexual relations) মাধ্যমেও ছড়াতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস (Monkey Virus), এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


প্রসঙ্গত, ১৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে এই মাঙ্কিপক্সের সন্ধান পান। যিনি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, ইউ এস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আরও মাঙ্কি পক্সের ঘটনা সামনে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না।