এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫-তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন প্রকৃত নেতা, যিনি ঐক্যবদ্ধতায় বিশ্বাস করতেন। আমরা আজকের দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরভর উত্সব উদযাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজারহাটে আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে তৈরি হবে স্মৃতিসৌধ। নেতাজির নামে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে রাজ্য সরকার।“ পাশাপাশি, ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজেও স্মরণ করা হবে নেতাজিকে। নেতাজির জন্মদিবসে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র। এদিন ট্যুইটে ফের দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ মনুমেন্ট তৈরি ও নেতাজির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের আগে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন নিয়ে আসরে নেমেছে কেন্দ্রও। ১২৫-তম জন্মবার্ষিকী পালনে কমিটি গঠন করেছে। আজই নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ৮৫ জনের কমিটিতে আছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ জানুয়ারি আগেই জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী আজ ট্যুইট করে রাজ্য় সরকারের পরিকল্পনা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।