মস্কো: সকলকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন মস্কোর মেয়র।  একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন,' এই মুহূর্তে রাজধানীতে কঠিন পরিস্থিতি। যতটা সম্ভব শহরের চারিপাশে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকুন।' পয়লা জুলাই অবধি মস্কোর যেকোনও জমায়েত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন গর্ভনর। কিন্তু কী কারণে এই সতর্কবার্তা ? আশঙ্কাটা কী ?


কেন এই সতর্কবার্তা ?


প্রসঙ্গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি (Russia and Ukraine War)। শক্তিশালী হয়েও যার সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়েছে রাশিয়াতেও। এদিকে এমনই এক আবহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) চিন্তা বেড়েছে। আর সেই চিন্তা বাড়িয়েছে শত্রুপক্ষ ইউক্রেন নয়, বরং নিজের দেশেরই পেশাদার যুদ্ধবাজরা। এতদিন অর্থের বিনিময়ে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়ছিল তারা। এবার মস্কো থেকে পুতিন সরকারকে উৎখাতের ডাক দিল তারা। ইতিমধ্যে রুশ সেনার একটি হেলিকপ্টার তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।


অডিও বার্তা প্রকাশ পেতেই বাড়ল আশঙ্কা 


রাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনী PMC Wagner. এটি মূলত একটি বেসরকারি সংস্থা। অর্থের বিনিময়ে রুশ সেনাবাহিনীতে যোদ্ধা সরবরাহ করে থাকে তারা। তবে রুশ আইনকানুন সে ভাবে কার্যকর হয় না এই সংস্থার উপর। ওই PMC Wagner সংস্থাই ক্রেমলিনের সেনাশাসককে উৎখাত করার ডাক দিয়েছে। সংস্থার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেন,'আমরা এগোচ্ছি। একেবারে শেষ দেখে তবে ছাড়ব। মাঝখানে যা আসবে, সব গুঁড়িয়ে দেব। ' আর তারা এবার  রাশিয়ার রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতেই বেড়েছে আশঙ্কা। 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


শেষ অবধি কিছুটা স্বস্তি পুতিনের


তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, কিছুটা স্বস্তি পুতিনের, পিছু হটল ওয়াগানার বাহিনী। মস্কোর দিকে এগিয়েও পিছু হটল ধনকুবের প্রিগোজিনের ২০ হাজার ভাড়াটে সৈন্য। আর রাশিয়ার কারও রক্তপাত চাই না, বার্তা ধনকুবের হোটেল ব্যবসায়ী প্রিগোজিনের। আগেই ইউক্রেন-সীমান্তবর্তী একাধিক শহরে ঢুকে পড়ে ওয়াগানার বাহিনী। পাল্টা প্রতিরোধ করে পুতিন বাহিনী। প্রতিরোধ উড়িয়ে মস্কোর দিকে এগোতে থাকে প্রিগোজিনের সৈন্য দল।তার মধ্যেই পিছু হটল ওয়াগানার বাহিনী, বাঙ্কারে ফিরল প্রিগোজিনের ভাড়াটে সেনা। ওয়াগানার বাহিনী পিছু হঠলেও প্রস্তুত রুশ সেনা।